বর্তমানে চন্দ্রেশ্বর খালকে দাসপুর-১ ব্লকের বৈকুন্ঠপুর থেকে গুড়লি পর্যন্ত ৫.৮ কিমি সম্প্রসারিত করে গুড়লিতে একটি ১৬ ফোকর যুক্ত রেগুলেটর ও নতুন স্লুইসগেটের মাধ্যমে শিলাবতী নদীর সঙ্গে সংযুক্তিকরণের প্রক্রিয়ার কাজ চলছে।
এর মাঝেই অনেক সাধারণ মানুষের মনে ঘোরাফেরা করছে বেশ কিছু প্রশ্ন। যেমন-
কৃষকদের প্রশ্ন সম্প্রসারণের ফলে কী অসুবিধা হবে?
এই সম্প্রসারণের ৫.৮ কিমি অংশ প্রধানত কৃষিজমি। এখানে বাড়ি, দোকান বা অন্য পরিকাঠামো কম। কাজেই এই সম্প্রসারণের ফলে সাধারণ মানুষ এবং ছোট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষরা সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে।
advertisement
কৃষকদের প্রশ্ন সম্প্রসারণের ফলে কি পাশের জমিতে জল উঠবে?
খালের জল ছাপিয়ে প্লাবিত হবার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ কারণ শিলাবতীর সাথে সংযোগস্থলে ১৬ রেগুলেটর কাম স্লুইসগেটের মাধ্যমে প্রয়োজন মতো জলপ্রবাহ চন্দ্রেশ্বর খালে প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। খালের বহন ক্ষমতার তুলনার বেশি জল খালে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না৷
আরও পড়ুন: নৈহাটি স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম ও চলন্ত ট্রেনের মাঝে বিপজ্জনক ফাঁকে আটকে গেল মহিলার পা!
কৃষকদের প্রশ্ন জমা জল বেরোবে কি করে?
খালের বাঁ দিকের পাড়ে থাকবে ৮’টি নতুন স্লুইস ও ডান পাড়ে থাকবে ১১’টি নতুন স্লুইস গেট।
সম্প্রসারণের ফলে নীচু এলাকার জল বেরোবে কি করে?
জমে থাকা জল নীচু এলাকা থেকে খাল সম্প্রসারণের জন্য সেখানে গিয়ে পড়বে।
চন্দ্রেশ্বরের জল রুপনারায়ণে কি করে পড়বে?
বর্তমান ১৬ ফোকর গোপীগঞ্জ স্লুইসকে প্রায় দ্বিগুণ আকারে সম্প্রসারণ করা হবে। যার ফলে জল সরাসরি যাবে শিলাবতী নদীতে৷
আরও পড়ুন: সোমেও ঝড়ের তাণ্ডব হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণের কিছু জেলায়, কতদিন চলবে দুর্যোগ?
সম্প্রসারণের ফলে সাধারণ মানুষের যাতায়াত কি করে হবে?
৯’টি নতুন পাকা সেতু নির্মিত হবে। এছাড়া বাঁধ তৈরি করে সেখান দিয়েও যাতায়াত করা যাবে। ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাস্তার বৈকুন্ঠপুর থেকে দাসপুর-কেশপুর রাস্তার ডিহিচেতুয়া পর্যন্ত সংযুক্ত থাকবে।যদুপুরে পুরানো কাঁসাই ও কাঁকির সংযোগস্থলে নতুন রেগুলেটর নির্মাণ করা হবে। ফলত পুরানো কাঁসাই নদীর জল শিলাবতীতে প্রবেশ সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে। নাড়াজোল, রাজনগর এলাকার জল যন্ত্রণা দূর হবে।