এ বার তাঁকে পালটা ‘জয় হিন্দ, জয় বাংলা’ লিখে পাঠানোর পরিকল্পনা শুরু করেছে তৃণমূল সমর্থকদের একাংশ। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে অর্জুন সিংয়ের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই নম্বরে জয় হিন্দ-জয় বাংলা লিখে পাঠানোর। যদিও, এসব কিছুই সরকারিভাবে নয়। অর্জুন সিংয়ের নম্বরে ইতিমধ্যেই মেসেজ যাওয়া শুরু করেছে ৷
advertisement
তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর প্রায় সব লড়াইয়েই নিজের পুরনো দলকে মাত দিয়েছেন অর্জুন সিং। ব্যারাকপুর লোকসভা আসনে ১০ বছরের তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে পরাজিত করা থেকে শুরু করে। ভাটপাড়ার বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা মদন মিত্রকে হারাতে মুখ তাঁর পুত্র পবন হলেও, আসল কারিগর ছিলেন অর্জুনই। ইতিমধ্যে নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর পৌরসভার সিংহভাগ কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি তে নাম লিখিয়েছে। ফলস্বরূপ জোড়া ফুলের তেরঙ্গা ঝাণ্ডার বদলে এই তিন পৌরসভায় উড়ছে পদ্ম প্রতীকের গেরুয়া ঝান্ডা। কাউন্সিলরদের দলবদল রুখতে নৈহাটি পৌরসভা গেটের সামনে ধর্না দিতে হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি, তারপরেই একে একে হাতছাড়া হতে শুরু করেছে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তাপস রায়, সুজিত বসু, নির্মল ঘোষদের মত হাফডজন মন্ত্রীদের প্রায় রোজ ব্যারাকপুরে পাঠিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নৈহাটি যান সেদিনই তাঁকে দেখে ভাটপাড়ার বিজেপি কর্মীরা “জয় শ্রীরাম” স্লোগানও দিতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় ঘিরে ধরে ৷ আর এর জেরেই নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে ৷