সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে গলসি ১ নম্বর ব্লক থেকে গীতাঞ্জলি আবাস যোজনায় বাড়ি পান প্রধান পম্পা রুইদাসের শ্বশুর গোরাচাঁদ রুইদাস। এরপর ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নাম আসে প্রধান পম্পা রুইদাসের। কিন্তু সেই সময় তিনি প্রধান বলে বাড়ি নেননি। পরবর্তী কালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্লাসে নাম এসেছে প্রধানের ছেলে দেবাশিস রুইদাসের।
advertisement
আরও পড়ুন: 'ব্য়বসা বন্ধের হুমকি দিয়ে দেবকে সাংসদ করা হয়েছে!' প্রজাপতি বিতর্কে বিস্ফোরক দিলীপ
একবার বাড়ি পাওয়া সত্ত্বেও আবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন নাম? এত অভিযোগের পরেও কি বাড়ি নেবেন? তখনই প্রধান বলেন, "পদ পেয়েছি, কিন্তু আমার সামর্থ্য তো বুঝতে হবে। একটা বড় ছেলের আর একটা ছোট ছেলের জন্য ঘর দরকার।"
আরও পড়ুন: মিটল দূরত্ব? বড়দিনে তাপসকে কেক খাইয়ে দিলেন সুদীপ
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এ বিষয়ে বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "জনগণের কথা এঁরা ভাবেন না। দুর্নীতি কি করে করতে হবে, তা তৃণমূলের নেতারা আত্মস্থ করে ফেলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ১৭ দফা নিয়ম অনুযায়ী বাড়ি হচ্ছে কি না, তার তালিকা তৈরি করে আমরা পাঠাব। প্রয়োজনে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করব।"
পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের পাল্টা যুক্তি, "ব্যক্তিগত কোনও ব্যাপার নয়। প্রশাসনিক স্তরে স্ক্রুটিনি হচ্ছে। যাঁরা যোগ্য, তাঁরাই বাড়ি পাবেন। বিজেপির অভিযোগ করা কাজ, বিজেপি অভিযোগ করছে।"