তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠিতে নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বিধায়ক। তবে তাঁকে নিয়ে দল কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নারায়ণের চিঠি পর্যালোচনা করে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে জানা গিয়েছে। দিন কয়েক আগে নারায়ণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ‘কোথায় গেল ও…’, কঁকিয়েই চলেছেন বাড়ি ফিরেও, মহাকুম্ভে যা ঘটল হাওড়ার পরিবারের সঙ্গে, ভয়ঙ্কর দাবি
অভিযোগ, অশোকনগর উৎসবের অনুষ্ঠানমঞ্চে উঠে বিধায়ক অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেছেন। তা শুনে অনেকেরই মনে হয়েছে, তিনি সে সময়ে ‘প্রকৃতিস্থ’ ছিলেন না। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই নারায়ণকে শোকজ করে তৃণমূল। শোভনদেব চ্যাটার্জিকে চিঠি পাঠিয়ে নিজের আচরণের জন্য ‘দুঃখপ্রকাশ’ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, এ বারের মতো তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হোক। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ আর তিনি করবেন না।
এক বিধায়কের কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ অনভিপ্রেত। জনমনে তা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে, এর আগেই জানিয়েছিলেন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান নারায়ণ গোস্বামী। সম্প্রতি অশোকনগরের এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠেছিলেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। আমন্ত্রিত সঙ্গীতশিল্পীর আগে তিনিই মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। দর্শকাসনে তখন অনেকেই ছিলেন। ওই সময়ের কিছু ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। বিধায়কের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তৃণমূল জানিয়ে দেয়, এই আচরণ দল অনুমোদন করে না। তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়েছিলেন, নারায়ণের আচরণ দলের ভাবমূর্তির সঙ্গে ‘খাপ খায় না’। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরই শো-কজ়ের চিঠি পান বিধায়ক। অবশেষে লিখিত জবাব দিলেন নারায়ণ গোস্বামী।