সেখানেই নাগরিকদের সমস্যা, রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা সকলে পাচ্ছে কি না সহ উন্নয়ন প্রতিটি এলাকায় পৌঁছেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে এরই সঙ্গে মানুষের অভিযোগ শুনে সমস্যা মেটাবেন। সেইমতো এদিন কর্মসূচির শুরুতেই অশোকনগর পৌরসভার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের নবভারতী শিক্ষা নিকেতন হাই স্কুলে বসে বিধায়কের দরবার। যেখানে উপস্থিত হন প্রায় শতাধিক বাসিন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের এক গাছের গাছের নীচে লুকিয়ে আছে বিরাট ইতিহাস! যা পড়ে আছে, শুনে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে
সবার সঙ্গেই আলাদা আলাদা ভাবে কথা বলেন বিধায়ক। মূলত রাস্তা তৈরি থেকে নিকাশি সমস্যা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতা সংক্রান্ত সমস্যার কথাই বিধায়ককে জানাচ্ছিলেন নাগরিকরা। ঠিক তখনই স্ত্রী কবিতা বিশ্বাসের সহায়তায় ক্যাম্পে এসে হাজির হন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ, অসুস্থ কানাইলাল বিশ্বাস।
জানা যায়, তাদের নেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে আর তাদের খোঁজ রাখে না। সামান্য পরিচারিকার কাজ করে সংসার সামলে স্ত্রী অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার খরচ জুগিয়ে উঠতে পারছে না। তাই কানাইলালের চিকিৎসা করানোর আর্জি জানান বিধায়ক এর কাছে। বিষয়টি জানা মাত্রই অসুস্থ বৃদ্ধকে নিজের গাড়িতে বসিয়ে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। বিধায়ক জানান, “মানুষের পাশে থাকার জন্যই আমরা জনপ্রতিনিধি।” হাসপাতালে সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা-সহ বৃদ্ধের মলদ্বারে সংক্রমণ রয়েছে। সেই সংক্রান্ত চিকিৎসা চলছে। আর কোনও সমস্যা রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।” তবে বিধায়কের এহেন মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন।
—– Rudra Narayan Roy