এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের আগেই লোকসভা ভোটে বীরভূম কেন্দ্র থেকে দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেন সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী৷ সিউড়ির বিধায়কের দাবি, গত তিন বারের মতো এ বারেও বীরভূম থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হতে চলেছেন শতাব্দী রায়৷
বীরভূমে দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল শাসক দলের অন্যতম মাথাব্যথা৷ অনুব্রত মণ্ডল দায়িত্বে থাকলে এসব সমস্যা নিয়ে হয়তো মাথাই ঘামাতে হত না তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে৷ কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরভূমে দলের ঐক্যবদ্ধ চেহারা তুলে ধরতে মরিয়া তৃণমূল৷ আগামী ২ ডিসেম্বর খয়রাশোলে দলের বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ সেখানে কোর কমিটির সদস্য সহ জেলার সব নেতাকেই উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: কান্নায় ভেঙে পড়়েছেন শহিদের মা, ছবি তুলতে ব্যস্ত বিজেপি-র মন্ত্রী! নিন্দার ঝড়
এই প্রসঙ্গেই বলতে গিয়ে সিউড়ির বিধায়ক বলেন, ‘খয়রাশোলে আগামী ২ ডিসেম্বর আমাদের সভা৷ কোর কমিটির ৯ জন সদস্যই উপস্থিত থাকবেন৷ বিজেপি শেষ, বিজেপি-র বীরভূমে অস্তিত্ব নেই৷ এবারেও আমাদের প্রার্থী শতাব্দী রায়৷ খয়রাশোল থেকেই ১৫-২০ হাজার ভোটে তিনি জিতবেন৷’
নিজের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে মন্তব্য না করলেও শতাব্দী বলেন, ‘আগামী ২ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়া সম্মিলনী৷ তখনই বুঝতে পারবেন সবাই এক হয়ে কাজ করছে৷ মতবিরোধ, মতপার্থক্য থাকতেই পারে৷ এখন এখন আর সেসব হবে বলে মনে হয় না৷’
এমনিতে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে শতাব্দীর সম্পর্ক খুব একটা মসৃণ ছিল না৷ অনুব্রতর বেশ কিছু বক্তব্য, হুমকির প্রকাশ্যেই সমালোচনা করেছেন শতাব্দী৷ তবে সাংসদ হিসেবে কাজ এবং জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে তাঁকেই পর পর তিন বার প্রার্থী করেছে দল৷ সিউড়ির বিধায়কের দাবি মেনে এবারেও শতাব্দীর উপরেই দল আস্থা রাখে কি না, সেটাই দেখার৷
বীরভূম ছাড়াও ওই জেলার মধ্যে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে৷ বোলপুরের বর্তমান সাংসদ অসিত মাল৷ বোলপুরে বার বার প্রার্থী বদলাতে হলেও বীরভূম কেন্দ্রে বার বারই শতাব্দীর উপরে আস্থা রেখেছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷