কয়েকদিন আগেই হাওড়া উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী দলের সঙ্গে বেসরকারি ওষুধ সংস্থার তুলনা টেনেছিলেন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে বলেছিলেন ব্র্য়ান্ড। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবারে আলটপকা মন্তব্য় করে দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন পাঁচলার তৃণমূল বিধায়ক।
আরও পড়ুন: 'তৃণমূল ওষুধের কোম্পানি, আমরা মেডিক্য়াল রিপ্রেজেন্টেটিভ!' বললেন হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক
advertisement
সোমবার বিকালে পাঁচলার ধুলোর বাঁধ এলাকায় তৃনমূলের এক দলীয় কমসুচিতে যোগ দেন পাঁচলার তৃণমূল বিধায়ক। সেখানেই বক্তব্য় রাখতে গিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আমি যদি ভোট না পাই, তাহলে সন্ন্য়াস নিয়ে নেবো। আর আমি যদি পাঁচলায় ক্ষমতায় না আসি তাহলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও নবান্নে বসবে না।' যদিও বক্তব্য় রাখতে গিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীর উদ্য়োগে শুরু হওয়া সামাজিক প্রকল্পেরও কথা উল্লেখ করেন পাঁচলার বিধায়ক। দাবি করেন, 'মুখ্য়মন্ত্রী না থাকলে আপনারা এত প্রকল্পের সুবিধা পেতেন না।'
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্য়েই দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তৃণমূল। দিদির দূত হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছেন দলের জনপ্রতিনিধিরা। দেখা যাচ্ছে, সেই কর্মসূচি পালন করতে গিয়েই নানা ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য় করে ফেলছেন তৃণমূল বিধায়করা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন পাঁচলার তৃণমূল বিধায়ক।
আরও পড়ুন: বীরভূমে TMCP মহিলা কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা, অভিযোগ মারাত্মক
পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রে ২০১১ সাল থেকে টানা তিনবার তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন গুলশন মল্লিক। তারও আগে ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটেও ওই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, কয়েকদিন আগেই উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক বলেছিলেন, 'মাথার উপরে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় রয়েছেন। এবং অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে বাংলা চলছে। আমরা কিচ্ছু নই। আমাদের বিধায়ক, পদাধিকারীরা কিছুই নই। আমার ডাক্তারখানায় ওষুধের সংস্থার রিপ্রেজেন্টেটিভ। আমাদের কোম্পানির নাম তৃণমূল কংগ্রেস, ব্র্য়ান্ড মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।'