কাঁথি কো অপারেটিভ কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচবনকে কেন্দ্র করে এ দিন সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়৷ এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্তির আশঙ্কাও ছিল৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আবেদন হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর পুলিশি নিরাপত্তা দিয়েই সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়৷ এর পর থেকেই ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর আসতে থাকে৷ এর মধ্যে তুলকালাম কাণ্ড হয় রামনগরের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে৷
advertisement
আরও পড়ুন: শিঙারার সঙ্গে কেন চাটনি কম, দোকানকর্মীকে সপাটে চড়! বীরভূমে আটক তৃণমূল কাউন্সিলর, চাইতে হল ক্ষমা
বৈধ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে রামনগরের একটি স্কুলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে গিয়ে রিটার্নিং অফিসার এবং পুলিশের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি৷ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতেও জড়ান তৃণমূল বিধায়ক৷ জোর করে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়৷ পুলিশকর্মীদের সঙ্গে অখিল গিরির কার্যত ধস্তাধস্তির ছবিও ক্যামেরায় ধরা পড়েছে৷ অখিল গিরিকে জাপটে ধরতে দেখা যায় এক পুলিশকর্মীকে৷ তবে শুধু রামনগর নয়, ভোট শুরুর পর কাঁথিতেও হাতাহাতিতে জড়ান তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মী সমর্থকরা৷
অখিল গিরি বলেন, ‘পুলিশ আমাদের বৈধ ভোটারদের বাধা দিচ্ছে৷ পরিচয়পত্র থাকলেও ঢুকতে দিচ্ছে না৷ পুলিশ এটা করতে পারে না৷ পোলিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার আছেন৷ আমি সেটাই বলতে গিয়েছিলাম৷’ এক ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক৷
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর অভিযোগ, পুলিশই তাঁর উপরে হামলা চালিয়েছে৷ ক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘এই জন্যই রামনগরে সমস্যা হচ্ছে৷ পুলিশের লোক আমাকে মেরেছে৷’ বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর অবশ্য অভিযোগ, অখিল গিরি নিজে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে অশান্তিতে প্ররোচনা দিয়েছেন৷
অখিল গিরিকে প্রথমে রামনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে তাঁকে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ চিকিৎসক জানিয়েছেন, অখিল গিরির হাতে, বুকে এবং কোমরে আঘাত রয়েছে৷ তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসক৷
কাঁথি কো অপারেটিভ কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন সমবায় ব্যাঙ্কের মতো ৭৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা৷ এর মধ্যে ১৪টি আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ মোট ভোটারের সংখ্যা ৫৮ হাজারের বেশি৷