ভোটের ফল বলছে, চার পুরসভাই ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে৷ আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নির্দলদের ভূমিকা কী হতে চলেছে। তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস কি কোনওভাবে মেনে নেবে নির্দলদের (Independent Candidates), নাকি নির্দলদের সাহায্য নিয়ে বোর্ড গঠন করা হবে?
তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "বোর্ড গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে স্থানীয় স্তরেই। নির্দিষ্ট পুরসভাগুলির ক্ষেত্রে স্থানীয় সিদ্ধান্তই মান্যতা পাবে। তবে নির্দলদের দলে ফেরানোর বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দলের রাজ্য কমিটি।"
advertisement
আরও পড়ুন: ব্যতিক্রম তাহেরপুর, সবুজ ঝড়ে দক্ষিণবঙ্গের কোন পুরসভায় কী ফল? দেখুন এক নজরে
প্রসঙ্গত, আগামী ৮ তারিখ নজরুল মঞ্চে রাজ্য কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার ফল বেরনোর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ত্রিশঙ্কু তিনটি পুরসভার দখলই কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেছে শাসক দল। এর মধ্যে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ১২টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে জয় পেয়েছে তৃণমূল, পাঁচটি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে কংগ্রেস৷ নির্দল প্রার্থীরা দু'টি আসনে জয়লাভ করেছেন৷
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা পুরসভাতেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কেউই৷ বেলডাঙার ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটিতে জয়ী হয় তৃণমূল৷ তিনটি আসনে জয়ী হয় বিজেপি৷ চারটি আসনে জিতেছেন নির্দলরা৷
হুগলির চাঁপদানি পুরসভার ২২টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ এই পুরসভার দশটি ওয়ার্ডেই জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা৷ একটি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস৷ পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতেও লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি৷ এগরা পুরসভার চোদ্দটি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি পেয়েছে তৃণমূল৷ পাঁচটিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি৷ একটি করে আসন পেয়েছেন কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থীরা৷
আরও পড়ুন: বামেদের দখলে রইল তাহেরপুর পুরসভা! লালদুর্গ অটুট রেখে জয় স্পষ্ট
চার পুরসভা ত্রিশঙ্কু হলেও তৃণমূল সূত্রে খবর, ঝালদা, বেলডাঙা, এগরা এবং চাঁপদানিতে তৃণমূলই পুরবোর্ড গঠন করবে৷ সূত্রের খবর, ঝালদায় জয়ী তিন জন কংগ্রেস প্রার্থী তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন৷ বেলডাঙা ও চাঁপদানিতে নির্দলদের সমর্থনে বোর্ড গড়ার পথে শাসক দল৷ তবে এগরা নিয়ে এখনও তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে কিছু জানানো হয়নি৷
তৃণমূল প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই যারা দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাদের দল প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে বলে। পরবর্তী সময়ে ভুল স্বীকার করে দলের প্রচারে নামতেও বলা হয়। যারা এর পরেও দলের নির্দেশ অমান্য করেছেন তাঁদের অনেককেই বহিষ্কার করা হয়। এদের মধ্যে অনেকেই জিতেছেন। তাঁরা ফিরে আসতে চাইছেন তৃণমূলে। এদের নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য কমিটি। তবে বোর্ড গঠন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় নেতৃত্বই।