ঘটনাচক্রে এ দিনই সন্দেশখালি মামলায় গণধর্ষণের ধারা যুক্ত করে পুলিশ৷ অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতা উত্তর সর্দার এবং শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এই চলা মামলায় এই ধারা যুক্ত করা হয়েছে৷ এ ছাড়াও উত্তমের বিরুদ্ধে বনগাঁয় একটি খুনের ঘটনায় আলাদা মামলা করেছে পুলিশ৷
শিবু হাজরা সন্দেশখালি ২ ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি উত্তর চব্বিশ পরগণার জেলা পরিষদের সদস্যও ছিলেন৷ যদিও এখনও অধরাই থাকলেন শেখ শাহজাহান৷
advertisement
এ দিন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, সন্দেশখালির ঘটনায় ওঠা প্রতিটি অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করবে পুলিশ৷ যে কোনও প্রমাণ পেলেই তা খতিয়ে দেখা হবে৷ রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তা আরও দাবি করেন, ৬ ফ্রেব্রুয়ারির আগে সন্দেশখালিতে মহিলাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের কোনও অভিযোগ পুলিশের কাছে আসেনি৷ সংবাদমাধ্যমে সন্দেশখালির অনেক মহিলাই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করলেও পুলিশের কাছে এখনও পর্যন্ত একজনেরই জবানবন্দি পুলিশ পেয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজীব কুমার৷
আরও পড়ুন: ছুরি, ইট, গণেশের মূর্তি দিয়ে আঘাত! কোন্ননগরে বাড়িতেই খুন ৮ বছরের বালক, কারণ ঘিরে রহস্য
সন্দেশখালির ঘটনায় অভিযুক্ত উত্তম সর্দারকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ আদালত থেকে জামিন পেলেও ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷ যদিও শিবু হাজরাকে কেন পুলিশ গ্রেফতার করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল৷
রাজীব কুমার অবশ্য এ দিন দাবি করেছেন, ‘অপরাধী যেই হোক না কেন, আমরা তাঁকে ঠিক গ্রেফতার করব৷ কিন্তু সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করলেই হবে না, পুলিশের কাছে এসে তা জানাতে হবে৷ আমরা সন্দেশখালির সব দ্বীপে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছি৷ সংবাদমাধ্যমকেও বলছি, আপনাদের কাছে কোনও প্রমাণ থাকলে আমাদের দিন৷ এখনও পর্যন্ত একজন মহিলা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই আমরা পদক্ষেপ করেছি৷’
সন্দেশখালি নারী নির্যাতনের পাশাপাশি গ্রামবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে৷ রাজীব কুমার জানিয়েছেন, আগামিকাল থেকেই সন্দেশখালির গ্রামে গ্রামে শিবির করবেন ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা৷ কারও যদি জমি সংক্রান্ত অভিযোগ থাকে, তাহলে তা সেখানেই জানাতে পারবেন গ্রামবাসীরা৷ পাশাপাশি, সন্দেশখালি থেকে পর্যায়ক্রমে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি৷
সহ প্রতিবেদন- অনুপম সাহা