১৯০৪ সালে বড়লাট লর্ড কার্জনের বর্ধমান আগমন উপলক্ষে এই গেট তৈরি করেন বর্ধমানের মহারাজ বিজয় চাঁদ মহাতাব। বৃহস্পতিবার সেই কার্জন গেটের সামনেই যুব তৃণমূলের একটি প্রতিবাদ সভা ছিল৷ সেই সভাতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে সায়নীকে বলতে শোনা যায়, মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলুন৷ ১২ বছর আগে কী ছিল, এখন কী হয়েছে? ছিল এই গেট (কার্জন গেটের দিকে ইঙ্গিত করে)? এই ঝাঁ চকচকে রাস্তা, আলো, হাসপাতাল? সবই তৈরি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ১২ বছরে।
advertisement
আরও পড়ুন: রাস্তায় বিপদ এভাবেই ওৎ পেতে থাকে! এই দুর্ঘটনার ভিডিও দেখলে শিউরে উঠবেন
এই বক্তব্যকে ঘিরে সব মহলেই উঠেছে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বর্ধমানের মহারাজা ১৯০৩ সালে এই বিশাল তোরণটি তৈরি শুরু করেছিলেন। ১৯০৪ সালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জনের সফরের সময় তোরণটির ‘কার্জন গেট’ নামকরণ হয়। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে তার নাম দেওয়া হয় ‘বিজয় তোরণ’। ১৯০৪ সালে ৪ এপ্রিল, ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় ও বড়লাট মার্কুইস জর্জ ন্যাথানিয়ল কার্জন এই গেট উদ্বোধন করেন। তার পরে এই তোরণের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘স্টার গেট অফ ইন্ডিয়া’। কীভাবে এই ইতিহাস ভুলে গেলেন সায়নী, সভায় উপস্থিত তৃণমূল নেতাদের অনেকেই সেই প্রশ্ন তুলছেন। তৃণমূলের যুবনেত্রীর মন্তব্যে অবাক বর্ধমানবাসীও৷
স্বভাবতই সায়নীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা৷ বিজেপি নেতা পুষ্পজিৎ সাঁই বলেন, উনি বর্ধমান এবং পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। বিরোধীদের চাপে পড়ে এই ইস্যুতে সাফাই দিয়েছে তৃণমূল। কার্জন গেটের সামনে থাকা বিশ্ববাংলার লোগো লাগানো স্তম্ভের দিকে আঙুল দেখিয়ে একথা সায়নী বলেছেন বলেই পালটা দাবি তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের।