সূত্রের খবর, ভাটপাড়া থানা এলাকায় সকাল থেকেই দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব শুরু হয়েছিল। গোটা এলাকাতেই একের পর এক বোমাবাজি করছিল সমাজবিরোধীরা। সেই সময়েই থানার কাছেই একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, সেই সময়েই হঠাৎ ওই দোকানে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী। আর কিছু বুঝে ওঠার আগেই চায়ের দোকানে আর বাইরে বোমাবাজি শুরু করে দেয় তাঁরা। সেই সময়েই অশোককে লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তখনই গুরুতর আহত হন ওই তৃণমূল নেতা।
advertisement
আরও পড়ুন: কাঠের পেঁচা তৈরি করেই লক্ষ্মীলাভ! শীতকালে আয় বাড়ে কয়েকগুণ, কেন জানেন?
ওই দোকানদারের দাবি, সেই সময় দোকানে ভীষণ ভিড় ছিল। চা বানাতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। আচমকা গোলমাল শুরু হয়।
এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। অশোকবাবু রোজই আমার দোকানে চা খেতে আসেন। আজকেও এসেছিলেন। ওঁরা এসে হঠাৎ হামলা চালালো। তাঁর গায়ে গুলি লেগেছে। আমার দোকানেরও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”
যদিও এই হামলা কে বা কারা করল সে বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারেননি। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত হয়েছে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: নীল রাস্তার পর এবার সবুজ! কী দিয়ে তৈরি, কত হল খরচ?
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, এর আগেও ২০২৩ সালে একবার হামলা চালানো হয়েছিল অশোকের উপর। সেবার রক্ষা পেলেও এবার দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি প্রাণ কাড়ল তৃণমূল নেতার। এই বিষয়ে, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া জানান, “তিন জন চায়ের দোকানে ঢুকে অশোক সাউকে পর পর গুলি করে। স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে, অশোকবাবুর পিঠে গুলি লাগে।”
ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তদন্তকারী আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, বুধবার নৈহাটি বিধানসভায় উপনির্বাচন চলছে। সেখানেও বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরমাঝেই, ভাটপাড়ায় এই হামলার ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। যদিও এই ঘটনার পিছনে, বিজেপির দাবি তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল জড়িয়েই হামলার শিকার হয়েছেন তৃণমূল নেতা অশোক।