আরও পড়ুন: বকখালির হোটেল যেন ‘নোংরামির’ আস্তানা! ধৃত ৫, লজ্জায় মাথা হেঁট সকলের
বীরভূমের চার বারের সাংসদ শতাব্দী রায় বলছেন, ‘‘কেষ্টদার সংগঠনে ফিরে কাজ করতে কোনও অসুবিধাই হবে না। কারণ, তাঁর পদ যায়নি। আর তিনি দীর্ঘ দিন ধরে সংগঠন করেছেন। জেলাটা চেনেন।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত থেকে ২০২২ সালের পুরসভা— বীরভূমের সব নির্বাচনেই বীরভূমের দুর্গরক্ষার ভার নিতেন অনুব্রত। তাঁর ‘ভোট করানোর’ ধরন নিয়ে বিরোধীরা লাগাতার অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। এমনকি নির্বাচন কমিশন তাকে গৃহবন্দিও করেছিল এক সময়, কিন্তু তৃণমূলের সাফল্য আটকানো যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: রান্নার তেলেই লুকিয়ে বিপদ! হার্ট ভাল রাখতে খাবারে এই ৫ তেল একদম ব্যবহার করবেন না
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত এবং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বীরভূমে তৃণমূলের জয় পেতে অসুবিধা হয়নি। যদিও ওই দুই ভোটের সময়েই অনুব্রত জেলবন্দি ছিলেন। অবশ্য পাশাপাশি অনেকের দাবি, ব্লক এবং অঞ্চল স্তরে অনুব্রত যে ভাবে সংগঠন সাজিয়ে দিয়েছিলেন, তার উপর ভর করেই ভোটের বীরভূমে সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল।
অনুব্রতকে ‘বাঘ’ বলে সম্বোধন করেছেন পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘বাঘ বাঘই থাকে। বাঘ খাঁচার ভিতরে থাকলে শেয়াল, হায়নারা বাইরে থেকে হুঙ্কার দেয়। আর বাইরে বেরোলে তারা পালিয়ে যায়।’’ এর আগে গরুপাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরেও বীরভূমে এসে তাঁকে ‘বাঘ’ বলে সম্বোধন করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। আপাতত বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ নেতারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ‘কেষ্টদার’ ফেরার জন্য। আগামী কয়েকদিনেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রতর ভূমিকা কী হতে চলেছে।