আরও পড়ুন : এই শহরে টানা সাতদিন বন্ধ থাকবে চায়ের দোকান, আর কী কী বিধিনিষেধ জারি হচ্ছে?
পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রতিদিনই ছ’শোর কাছাকাছি বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। সংক্রমণে লাগাম টানতে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করছে প্রশাসন। দোকান বাজার খোলা রাখা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এর ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। বিধিনিষেধ আরও কড়াকড়ি করার কথা উঠলেই সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে আঙুল তুলছেন। তারা বলছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা সমাবেশ থেকেই দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে করোনা। তাই দোকান বাজার বন্ধ করার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। বাসিন্দাদের মনোভাব আঁচ করেই সভা-সমাবেশ আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
আরও পড়ুন : এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অনেক ডাক্তার নার্স করোনা আক্রান্ত, পরিষেবা ঘিরে উদ্বেগ
সামনেই পুরসভা নির্বাচন। বর্ধমান মেমারি কালনা কাটোয়া দাঁইহাট গুসকরা এই ছয়টি পৌরসভায় দু-এক মাসের মধ্যেই নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে বাসিন্দাদের মন পাওয়া সব রাজনৈতিক দলের কাছেই জরুরি। সে কথা মাথায় রেখেই রাজনৈতিক দলগুলি এই সময় এই করোনা পরিস্থিতিতে বুঝে শুনে পা ফেলতে তৎপর। বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর এই জেলায় বিজেপির তেমন কর্মসূচি আর দেখা যাচ্ছে না। তেমন কর্মসূচি নেই কংগ্রেস বা সিপিএমেরও। তাই বড় জমায়েত বা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে সভা সমাবেশ এখন তেমন প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারই মধ্যে দলীয় স্তরে পুরভোটের প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল।