গত ৩০ জুন খড়্গপুরে এলাকার প্রবীণ বাম নেতা অনিল দাসকে রাস্তার উপরে বেধড়ক মারধর করেন এলাকার তৃণমূলনেত্রী বেবি দাস৷ কিল, চড়, ঘুষির পাশাপাশি ওই বৃদ্ধকে রাস্তায় ফেলে জুতোপেটা করেন বেবি দাস এবং তাঁর সঙ্গী এক মহিলা৷ প্রাণ বাঁচাতে ওই বৃদ্ধ একটি রংয়ের দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানে ঢুকে তাঁর গায়ে রং ঢেলে দেন ওই তৃণমূলনেত্রী৷ ছিঁড়ে দেওয়া হয় প্রবীণ বাম নেতার পোশাক৷
advertisement
এই ঘটনার পরই ওই তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত বাম নেতা৷ ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত নেত্রীকে শো কজ করে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ কিন্তু তার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও পুলিশ অভিযুক্ত নেত্রীকে গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ৷ ন্যায়বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেন আক্রান্ত ওই বাম নেতা৷
এ দিকে দলের শোকজের জবাবেও কোনও অনুশোচনা প্রকাশ করেননি অভিযুক্ত তৃণমূলনেত্রী৷ তিনি দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই৷ ব্যক্তিগত কারণেই ওই বৃদ্ধের উপরে হামলা চালিয়েছেন তিনি৷ ফলে এই ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি বলেই দাবি করেন অভিযুক্ত তৃণমূলনেত্রী৷
কেন ওই তৃণমূলনেত্রীকে পুলিশ গ্রেফতার করছে না, তা নিয়ে খড়্গপুর জুডে়ই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে৷ শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত বলেই অভিযুক্ত নেত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশ পদক্ষেপ করছে না বলেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা৷ তার পরই অভিযুক্ত নেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল তৃণমূল৷
