কিন্তু ভোটে জিতেও চিন্তায় কেন? সুনীলবাবু তাঁর কারণও জানিয়েছেন৷ সুনীল মুর্মু৷ পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি৷ পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হিসেবেও তাঁকে চিনতেন এলাকাবাসী৷ সেই সুনীলবাবুকেই পুরভোটে মেমারি পৌরসভার ১৬নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী করেছিল শাসক দল।
আরও পড়ুন: 'শত্রুঘ্নর সামনে উড়ে যাবে', অগ্নিমিত্রা শুভেচ্ছা জানিয়েও দাবি বন্ধু বাবুলের
জয়ী হয়ে কাউন্সিলর হয়েছেন কিন্তু মনে শান্তি নেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ইছাপুর দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা সুনীল মুর্মুর। সুনীল মুর্মু বলছেন, 'রাজমিস্ত্রির কাজ আমাকে করতেই হবে। নাহলে সংসার চলবে কী করে?কাউন্সিলর হয়ে যাওয়ার পর এলাকার মানুষ কাজ দেবেন তো?'
advertisement
সুনীল বাবু জানিয়েছেন, ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছেন। জোগাড়ে থেকে রাজমিস্ত্রি হয়েছেন। কাজের খোঁজে ছুটেছেন ভিন্ রাজ্যেও। তবে গত কয়েক বছর ধরে এলাকাতেই বেশি কাজ করেছেন। কিন্তু আগামী দিনে কূ হবে তা নিয়ে চিন্তায় তৃণমূল কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন: ঘরের ছেলে ধলু নেই, আগরপাড়ায় এ বার বন্ধ বসন্ত উৎসব
ভোটের কয়েক দিন কাজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। জেতার পরের দিনই মেমারি শহরের বাইরে দুর্গাডাঙায় কাজ করতে ছুটে গিয়েছিলেন সুনীল বাবু। তাঁর কথায়, ‘ওয়ার্ডের মানুষের দায়িত্ব নিয়েছি। কাজ খুঁজতে তো ভিন রাজ্যে যেতে পারব না। তাই শহরের কাছাকাছি এলাকার মধ্যেই কাজ করছি।’
ভোটের আগে যে সব কাজের বরাত নেওয়া ছিল, এখন সেই সব কাজ করছেন তিনি। কাজ করার ফাঁকেই শপথ নিয়েছেন। সুনীলবাবুর উদাহরণ দিয়ে এলাকার তৃণমূল নেতারা বলছে, এই দল ধনী দরিদ্র সবাইকেই প্রার্থী করে।
এলাকায় সরল ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত সুনীল মুর্মু। সে কথা মুখে বলছেন বিরোধীরাও। সেই সঙ্গে তাদের কটাক্ষ, তৃণমূলে বদলে যাওয়াটা সময়ের অপেক্ষা। সুনীল মুর্মুর ক্ষেত্রে তেমনটা হয় কি না, সেটা ভবিষ্যতই বলবে৷