বিশ্বকাপ ফাইনালকে কেন্দ্র করে এমনই ঘটনা ঘটল বর্ধমান শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের হারাধন পল্লি এলাকায়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। পরে বর্ধমান থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: 'মেসির জন্য এই বিশ্বকাপ দরকার ছিল', হাইকোর্টে বিরতির ফাঁকে ফুটবল-চর্চায় মাতলেন বিচারপতি
স্থানীয় সূত্রে খবর, হারাধনপল্লি এলাকায় খেলার মাঠে জায়ান্ট স্ক্রিনে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ দেখার আয়োজন করেন এলাকার তৃণমূল নেতা সেখ সবুর আলি ওরফে কালুয়া। পাল্টা কালুয়ার বিরুদ্ধগোষ্ঠী বলে পরিচিত পিকু রায় ও দিপু রায়ের গোষ্ঠী স্থানীয় ক্লাবে খেলা দেখার আয়োজন করে।
advertisement
যেহেতু কালুয়ার গোষ্ঠীতে আর্জেন্টিনার সমর্থক বেশি ছিল, তাই পিকু ও দিপুর সমর্থকরা ফ্রান্সকে সমর্থন করতে শুরু করে। যদিও দিপু ও পিকু গোষ্ঠীরও পাল্টা একই অভিযোগ। খেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই পরস্পরকে উদ্দেশ করে কটূক্তি, মন্তব্য় এবং পাল্টা মন্তব্য় শুরু হয়। যাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এমন কি শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। দুই দলই পরস্পরকে লক্ষ্য় করে ইট, পাথর ছোড়ার পাশাপাশি লাঠি নিয়েও হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সে দাঙ্গা, আর্জেন্টিনায় উৎসব! রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের পরই দুই দেশে দুই ছবি
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালকে ঘিরেও যে এভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসতে পারে তা ভাবা যায়নি। গভীর রাতে দুই পক্ষের মারপিটকে কেন্দ্র করে উত্তেজনায় এলাকার শান্তিপ্রিয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ধমান থানার পুলিশ বাহিনী।
বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি-র অভিযোগ এটা আসলে শুধু খেলা দেখার জন্য রেষারেষি নয় এটা আসলে এলাকার দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এলাকায় তোলাবাজি নিয়ে বিবাদের জেরেই এই সংঘর্ষ বলেও অভিযোগ বিজেপি শিবিরের। যদিও বিজেপি-র এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, দু'টি ক্লাবের ছেলেদের মধ্যে বিবাদ হয়েছে এর সঙ্গে রাজনীতি বা দলের কোনও সম্পর্ক নেই।