তাঁদের অভিযোগ, রায়নার বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি শম্পা ধাড়া নির্দলদের দলীয় প্রতীক দিতে চাইছেন। রাজ্য থেকে ঠিক করা প্রার্থীদের প্রতীক দেওয়া না হলে ব্লকের সমস্ত তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: মমতার হাতে আছে এক ছোটখাটো ‘কেষ্ট মণ্ডল’ও! নাম-তথ্য তুলে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
advertisement
আন্দোলনরত তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি অসীম পাল, ব্লকের যুব সভাপতি জুলফিকার আলি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
তারা জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে মানুষের ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীদের রাজ্য থেকে তালিকা করে পাঠানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের সকলকে দলের সিম্বল দেওয়া হচ্ছে না। বদলে বিধায়কের অনুগামী যারা নির্দল প্রার্থী হয়েছে তাদের সিম্বল দেওয়া হবে বলে জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছে। তাঁরা তা মানতে নারাজ।
আরও পড়ুন: জেলে এমন কী হচ্ছে তাঁর সঙ্গে? বিচারকের কাছে বিস্ফোরক অর্পিতা! চমকে উঠল সকলে
জুলফিকাররা বলেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বলেছেন নির্দলদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হবে। কিন্তু এখানে তার উল্টোটা ঘটাছে। রায়না-২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি আব্দুল আলিমকে যারা খুন করেছিল, যারা সেই খুনের ঘটনায় জেল খেটেছিল এখন তাদের নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন বিধায়ক। অথচ নিহত সভাপতির স্ত্রীকে টিকিট দেওয়া হয়নি। এমনকী ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে শম্পা ধাড়াকে প্রার্থী করায় যারা বিরোধিতা করেছিল। এখন তারাই কোনও এক অজ্ঞাত কারণে বিধায়কের নয়নের মণি হয়ে উঠেছে বলেও আন্দোলনকারীরা দাবি করেন। আন্দোলনকারী জেলা নেতৃত্বকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে হুমকি দিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে দলের ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী প্রার্থীদের সিম্বল দেওয়া না হলে সকল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন।