এরপর তড়িঘড়ি বনকর্মীরা তড়িঘড়ি ওই বাঘিনীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি বাঘিনি সোহিনীকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে বনকর্মীরা। মৃত্যুকালীন সোহিনী বয়স হয়ে ছিল ২৩ বছর। চিকিৎসকেরা জানিয়েছে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে পূর্ণবয়স্ক বাঘিনীর।
আরও পড়ুন: দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় যাদবপুর, NIRF র্যাঙ্কিংয়ে বাংলার আর কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান?
advertisement
এ বিষয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা মুখ্য বন বিভাগের আধিকারিক নিশা গোস্বামী (ডিএফও) বলেন, ‘বুধবার ঝড়খালির ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে মৃত্যু হয় এক বাঘিনীর। মৃত ওই বাঘিনীর নাম সোহিনী (২৩)। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিল এই পূর্ণবয়স্ক বাঘিনী। কয়েক মাস আগে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছিল সোহিনীর সঙ্গী সোহনের। সোহন এই রাজ্যের অন্যতম প্রবীণ বাঘ ছিল। সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে এসে ধরা পড়ার পর থেকেই ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রই তার ঠিকানা হয়ে উঠেছিল।’
এদিকে মৃত্যুর দু’বছর আগে থেকেই সোহিনীর চোখে ছানি পড়েছিল। নানা শারীরিক সমস্যাও মাঝেমধ্যে দেখা দিত তার। কিন্তু বনকর্মীদের দেখভাল ও যত্নের কারণেই এতদিন জীবন কাটিয়েছে সে। বন আধিকারিকদের মতে, সাধারণত পূর্ণবয়স্ক বাঘের আয়ু ১৫ থেকে ১৬ বছর হয়। নজরদারি ও যত্নের মধ্যে থাকার জন্যই সোহিনি তার থেকেও বেশি বছর বেঁচে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সোহিনীর মৃত্যুতে এই ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে পড়ে রইল ‘সুন্দর’ আর আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে আনা অন্য একটি বাঘ। বৃহস্পতিবার বাঘিনীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে ময়নাতদন্তের পর দেহটি সৎকার করবেন বন দফতরের কর্মীরা।






