জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মনিয়ার্ডি ও চিটামাটি গ্রামের মাঝের জঙ্গলের চারিদিকে বাঘের পায়ের ছাপের মতো অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে।
বিষয়টি বন দফতরকে জানানো হলে বন দফতর বিন্দুমাত্র সময় না নষ্ট করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনা তদন্ত শুরু করে। আদৌ কি পায়ের ছাপটি বাঘের না অন্য কোন প্রাণী তা জানার জন্য ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন, “এখনও কনফার্ম নই আমরা। আমাদের স্টাফ ওখানে যাচ্ছে তারপর দেখে কনফার্ম জানাব”।
advertisement
যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, সকালে যে সমস্ত গ্রামবাসীরা জঙ্গলে কুরকুট (লালা পিঁপড়ে) সংগ্রহ করতে গিয়েছিল তারা বড় একটা বাঘের মতো জন্তু দেখেছে। মনিয়ার্ডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা ওই এলাকার বাসিন্দা প্রেমানন্দ মুর্মু বলেন, “এদিন সকাল আনুমান সাড়ে ৯ টার সময় মনিয়ার্ডি ও চিটামাটি গ্রামের মাঝের জঙ্গলে প্রচুর পরিমাণে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। গ্রামের দু’জন কুরকুট সংগ্রহ করতে গিয়েছিল তারাও জঙ্গলের মধ্যে দেখেছে বড় একটি হলুদ রঙের জন্তুকে। বন দফতরকে বিষয়টি জানানো হলে বন দফতর লোকজন পৌঁছে বিষয়টি খতিয়ে দিচ্ছে”।
আরও পড়ুন: মাংস খেয়ে শেষে কটমটিয়ে হাড় চেবান? এতে আপনার শরীরে কী হচ্ছে জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
চিটামাটি গ্রামের পরেই শুরু হয়ে যাচ্ছে পুরুলিয়া জেলার বর্ডার। কিছুদিন আগে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছিল ঝাড়খণ্ডের একটি বাঁধ চান্ডিল হয়ে পুরুলিয়া বর্ডার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে। অনেকের অনুমান হয়তো সেই বাঘটি ঝাড়গ্রাম জেলায় ঢুকে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, ওড়িশার সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে বাঘিনী জিনাত ঢুকে পড়েছিল ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ির বিস্তীর্ণ এলাকায়। বেলপাহাড়ি হয়ে পুরুলিয়া তারপর বাঁকুড়ায় ধরা পড়ে ছিল জিনাত। তাই নতুন করে বাঘের আতঙ্ককে হালকা ভাবে নিতে নারাজ ঝাড়গ্রাম বন বিভাগ।
বুদ্ধদেব বেরা