TRENDING:

Sundarbans: বাঘের থাবায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন স্বামী! মৈপীঠে গণেশের পরিবারের একটাই দাবি সরকারের কাছে

Last Updated:

Sundarbans: মৈপীঠ নগনাবাদে বাঘের আক্রমণে গুরুতর যখম হয় গনেশ শ্যামল। এই মুহূর্তে সে চিকিৎসাধীন পিজি ট্রমা কেয়ারে। মৈপীঠ কোস্টাল থানার মধ্যগুড়গুড়িয় বাড়ি গণেশ শ্যামলের। বছর ৪২শের গণেশ শ্যামল নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরে কোনওভাবে সংসার চালাত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মৈপীঠ নগনাবাদে বাঘের আক্রমণে গুরুতর যখম হয় গনেশ শ্যামল। এই মুহূর্তে সে চিকিৎসাধীন পিজি ট্রমা কেয়ারে। মৈপীঠ কোস্টাল থানার মধ্যগুড়গুড়িয় বাড়ি গণেশ শ্যামলের। বছর ৪২শের গণেশ শ্যামল নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরে কোনওভাবে সংসার চালাত। জঙ্গলে কোনও কাজ অথবা বাঘ যখন লোকালয়ে চলে আসে তখন তাঁর ডাক পড়তো। অস্থায়ী বনকর্মী হিসেবেই সে কাজ করতো কুইক রেস্পন্স টিমের সঙ্গে। পরিবারে আছে স্ত্রী-সহ তিন সন্তান। বড় মেয়ে গায়ত্রী মন্ডলের বিয়ে হলেও বাবা আর্থিক অনটনের জন্য শশুর বাড়ির পাওনা দিতে না পারায় বাপের বাড়িতে থাকে সে। এই মুহূর্তে সে ও অন্তঃসত্ত্বা। তাঁরও সব দিক সামলাতে হয় গনেশ শ্যামলকে। মেজো সন্তান ১৬ বছরের মৈত্রী শ্যামল, ৬ বছরের ছোট সন্তান সাবিত্রী শ্যামল।
advertisement

আরও পড়ুনঃ অভিনয় গুণে সবার ঘরের মেয়ে ‘মা’ খ‍্যাত ঝিলিক! আজ কী হালে দিন কাটে জানেন? কী অবস্থা তাঁর!

মৈপীঠ নগেনাবাদ এলাকায় লোকালয়ে বাঘ যখন ঢোকে ডাক পরে গনেশ শ্যামলের। কুইক রেস্পন্স টিমের সঙ্গে বাঘ তাড়াতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে গুরুতর আহত হয় গণেশ শ্যামল। বাঘের আক্রমণে গুরুতর জখম হলে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে অনেক সময় লাগে। অনেক সময় দেখা যায় স্বাভাবিক ছন্দে নাও ফিরে আসে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে আজ মৃত্যু শয্যায়। বাড়িতে নেমে এসেছে দারিদ্রের ছায়া। স্ত্রী উুনুনে ভাত রান্না করতে করতে গণেশ শ্যামলের কথা বলতেই তাঁর চোখে জল।

advertisement

আরও পড়ুনঃ বিকল হবে লিভার! ভুলেও খাবেন না এই ৫ খাবার! ফ‍্যাটি লিভার তছনছ করবে সুস্থ জীবন

View More

উুনুনে হাড়ি, বসিয়ে ভাত রান্না করতে জল ভরা চোখে বলেন আমার একটি দাবি মানবিক মুখ্যমন্ত্রীকে। আমাদের পরিবারের দিকে তাকলে ভাল হয়, তাঁদের আত্মীয়-স্বজনেরই একই কথা, কীভাবে চলবে এদের সংসার সেদিকে নিশ্চয়ই মানবিক মুখ্যমন্ত্রী নজর রাখবেন। তাঁদের দাবি সরকারি একটি চাকরি হলে সংসার কোনওভাবে চলতো। নতুন করে তাঁরা জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। আর না হলে তাঁদের বেঁচে থাকা দায় হয়ে যাবে। প্রতিবেশীরাও যেমনটা জানান গণেশ শ্যামল খুব গরীব কোনও ভাবে সংসার চলে। যখন কাজ না থাকে তখন মাছ কাঁকড়া ধরে সংসার চলে।যখন না হয় কলকাতায় মাঝেমধ্যে কাজে যায়। এই সময় সরকার তাদের পাশে থাকা দরকার।

advertisement

সুমন সাহা

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Sundarbans: বাঘের থাবায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন স্বামী! মৈপীঠে গণেশের পরিবারের একটাই দাবি সরকারের কাছে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল