ব্যস্ত এই রাস্তায় ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনার পর লোক জমায়েত হচ্ছে স্পটে৷ যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে ৷ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৌঁছে গিয়েছে পুলিশ। আপাতত পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এয়ারপোর্ট তিন নম্বর গেটের একদম সামনেই কুটির পেছনে ট্রাকের ধাক্কা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তিনজনের বাবা মা ও মেয়ের। বাবা ও মা মধ্য বয়সী৷ এবং মেয়ের বয়স আনুমানিক ১৬-১৭। দুর্ঘটনার পরে আহতদের বারাসাত স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখানে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ ট্রাকটিকে আটক করেছে৷
advertisement
আরও পড়ুন-পাটায়ার যৌনপল্লিতে অমিতাভ! কাটালেন প্রায় ৩ ঘণ্টা, সেই রাতে কী করেছিলেন বিগ-বি? জানলে ঘুম উড়বে
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। স্কুটিতে থাকা তিনজন সার্ভিস রোড থেকে ফ্লাইওভার ধরার জন্য পার হচ্ছিল উল্টোদিকে দক্ষিণেশ্বর থেকে একটি লরি এসে সজোরে ধাক্কা মারে। চাকার নিচে স্কুটি চলে যায়, ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন ধরেই বেপরোয়াভাবে এখানে যানবাহন চলাচল করছে সিগন্যাল থাকলেও ঠিকমতো সিগন্যাল কাজ করে না পুলিশ ট্রাফিক ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করে না এমনই অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা। ঘটনার পর সার্ভিস রোড থেকে আর রাস্তা পারাপার করতে দেওয়া হচ্ছে না বাস এবং ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে জায়গাটি।
শুক্রবার রাতেবেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের প্রমোদনগরের কাছে মৃত্যু হয় এক যুবকের৷ পুলিশ জানায়, বছর ১৯-এ তরুণ মৃত সায়ন্তন সরকার ছিলেন বরাহনগরের বসাকবাগানের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই দিন বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে।
আরও পড়ুন-বিরাট দুঃসংবাদ! প্রয়াত স্বর্ণযুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, শোকে কাতর বিনোদন দুনিয়া
নিমতার মাঠকল এলাকা থেকে ফেরার পথেই ঘটে দুর্ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, এক্সপ্রেসওয়েতে ওই তরুণের বাইকের দু’দিক দিয়ে দ্রুত গতিতে দু’টি লরি রেষারেষি করছিল। সায়ন্তনও বাইকের গতি বাড়িয়ে দু’টি লরিকে পার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। তখনই চিকিৎসকেরা জানান ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণের। গতকালও বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে দুর্ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে৷