৫৩৬৪ মিটার উঁচু এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে পৌঁছে কার্যত আত্মহারা তিন অভিযাত্রী তরুণ রায়, প্রিয়জিত সরকার এবং পার্থ রজক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ছবি এখন ভাইরাল। কার্যত শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিন পর্বতারোহী।
এভারেস্ট জয় করেছেন এমন বাঙালির অভিযাত্রীর সংখ্যা হাতে গোনা। যাঁরা পাহাড়ে ট্রেকিং করতে অভ্যস্ত, তাঁরা জানেন এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে পৌঁছনোও কিন্তু সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে যদি কোনওরকম প্রশিক্ষণ না থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: অটোয় করে আসামীকে আদালতে আনছিল পুলিশ, চোরের ঝাঁপ পুকুরে, তারপর টানটান নাটক হাওড়ায়
এর আগেও শখ করে বেশ কয়েক দফা ট্রেকিং করেছেন তাঁরা। এতে মনোবল তৈরির কাজ হয়েছিল বেশ ভাল ভাবেই। শেষপর্যন্ত দুর্গম পথ বেয়ে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে পৌঁছনোর লক্ষ্য স্থির করেন তাঁরা। এই তিন অভিযাত্রীর মধ্যে তরুণ চাঁচলের সদরপুর স্কুলের সহ-শিক্ষক। প্রিয়জিত চাঁচলের সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউটের শিক্ষক। পার্থ খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্মী।
তিন অভিযাত্রী জানান, প্রথমে লুকলা থেকে ট্রেকিং শুরুর কথা ছিল। কিন্তু বারবার খারাপ আবহাওয়ার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। এজন্য ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছানো স্থির করেন। কাঠমান্ডু থেকে রামেছাপ পৌঁছেও ট্রেকিং শুরু করা সম্ভব হয়নি। শেষে রামেছাপ থেকে গাড়িতে করে পৌঁছলেন ফাপলু। সেখান থেকে খাড়িখোলা পৌঁছে শুরু করেন ট্রেকিং। বেশ কয়েকদিন টেকিংয়ের শেষে লবুচে হয়ে গোরাপশেপ, এরপর পৌঁছনো এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে। যার উচ্চতা ১৭ হাজার ৬০০ ফুট। তাপমাত্রা মাইনাস ১২ ডিগ্রি। সেখানকার নৈসর্গিক দৃশ্য আর এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের ছবি ক্যামেরা বন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিন অভিযাত্রী। সেই ছবি এখন মালদহে চর্চার কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন: রাঙা আলুতেই লুকিয়ে রয়েছে অনেক রোগের প্রতিষেধক! আজ থেকেই জুড়ে নিন খাবারের তালিকায়
অভিযাত্রীরা বলেন, মালদহে কোনও পর্বতারোহন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই। অনেকদিন ধরেই পর্বতারোহনকে ভালবেসেছেন তাঁরা। দক্ষ গাইডের সহযোগিতায় গুটিগুটি পায়ে পৌঁছেছেন এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে। এই সাফল্যে মনোবল আরও চাঙ্গা হয়েছে। আগামীতে আরও বড় লক্ষ্যভেদ চান ওঁরা।