স্থানীয় সূত্রে খবর, এই দিন রাত একটা নাগাদ ঝাড়গ্রাম থেকে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস খড়গপুর যাওয়ার সময় বাঁশতলাতে হাতি তাড়াচ্ছিলেন করছিলেন বন দফতর ও হুলা পার্টির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: এ কী সর্বনাশ! আচমকা কুয়োয় পড়ে গেলেন মহিলা… তড়িঘড়ি ছুটে এল মহিলা, তারপরেই...
জানা গিয়েছে, সেই সময় একটি বয়স্ক হাতি ও দুটি শাবক হাতি বাঁশতলা স্টেশনের সামনের রেল লাইনের উপরে উঠে আসে, ফলে মুহূর্তেই ঘটে যায় অঘটন। দ্রুত গতিতে ছুটে আসা ট্রেনের ধাক্কা মৃত্যু হয় তিনটি হাতির। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় বনদফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও রেল আধিকারিকরা। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল।
advertisement
বনদফতরের তরফে হাতির মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করা হয়। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সঠিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হুলা পার্টি নিয়োগ না করার ফলে একের পর এক হাতির মৃত্যুর ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। ঝাড়গ্রাম জেলায় বনদফতরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, রেলপথের দু’ধারেই জঙ্গল হওয়ায় হাতিদের আনাগোনা বছরভর লেগে থাকে। দুর্ঘটনা হলেই বন দফতর রেলকে ওই করিডরে গতি কমাতে বলে। তা কিছুদিন মানা হয়। কিন্তু, কিছুদিন পার হলেই অবস্থা আবারও একইরকম হয়ে যায়। রেলের গতিও কমে না, আর হাতিদের মৃত্যুও ঠেকানো যায় না।
স্থানীয় বাসিন্দা সুরেশ সিং বলেন, “রাতে ট্রেনের ধাক্কায় তিনটি হাতি কাটা পড়ে। এখন বনদফতর এসে হাতিগুলোকে উদ্ধার করছে।”
বনদফতর সূত্রে জানান হয়েছে আমরা রাত্রি সাড়ে এগারটার সময় রেলকে ইনফরমেশন দিয়েছিলাম। বনকর্তারা বলছেন, হাতির গতিবিধি কি কেউ আগাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেটা তাদের যাতায়াতের স্বাভাবিক পথ, সেটা ধরে তারা যাবেই। দিন-ক্ষণ-লগ্ন নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কাজেই নির্দিষ্ট এলাকাগুলিতে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলেই কিছুটা সুরাহা হবে।