এই উৎসব গ্রামে-গ্রামে বয়ে আনে ভক্তি, শিল্প আর মানুষের মিলনের ঝড়। ধোবা গ্রাম ও নান্দাই গ্রামে কয়েক দশক ধরে ধুমধাম সহকারে ঝুলন উৎসব আয়োজিত হচ্ছে। কমবেশি প্রত্যেক ক্লাবের তরফ থেকেই চোখ ধাঁধানো প্যান্ডেল এবং থিমের ব্যবস্থা থাকে। তবে সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হল সিনারি বা প্রাকৃতিক দৃশ্য।
আরও পড়ুনঃ বন্যায় ফসল নষ্ট! কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য, বড় ঘোষণা মমতার
advertisement
আগে বিভিন্ন পুজোতে সিনারি লক্ষ্য করা যেত। তবে বর্তমানে সেই চল একপ্রকার উঠেই গিয়েছে। সিনারির জায়গা দখল করেছে আধুনিক কারুকার্যের প্যান্ডেল। তবে কালনার নান্দাই এবং পূর্বস্থলীর ধোবা গ্রামে এখনও টিকে রয়েছে সিনারির ঐতিহ্য। ঝুলন উৎসবে সিনারি দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ভিড় জমান বহু মানুষ। এই প্রসঙ্গে ধোবা স্বাধীন সংঘ ক্লাবের সেক্রেটারি পিন্টু সিকদার বলেন, এটা আমাদের ৪৭তম বছর। প্রথম দিনেই শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে থিম রেখেছি। সামনের শনিবার অবধি পাঁচদিন ধরে অনুষ্ঠান চলবে।
আরও পড়ুনঃ মাছ ধরার সময় বজ্রপাত, নদীর পাড়েই লুটিয়ে পড়লেন ভোলা! ফের বাজ পড়ে মৃত্যু রাজ্যে
দুর্গাপুজোর মত এই দু’টি গ্রামে পাঁচ দিন ধরে ঝুলন উৎসব চলে। সন্ধ্যা হলেই আলোর রোশনাইয়ে সেজে ওঠে ক্লাবগুলি। রোজ প্রত্যেক ক্লাবের তরফ থেকে ভিন্ন ভিন্ন থিম দৃশ্যের আয়োজন থাকে। এই ঝুলন উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ আবার ‘মানুষ ঝুলন’। সেখানে স্থানীয়রা নানা পৌরাণিক ঘটনাপ্রবাহ অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন। প্রত্যেক বছর রাধাকৃষ্ণের বিভিন্ন কাহিনির পাশাপাশি পৌরাণিক ঘটনা ঝুলন উৎসবে ফুটিয়ে তোলা হয়। নান্দাই তরুণ সংঘ ক্লাবের সেক্রেটারি গণেশ হালদার বলেন, বহু মানুষ ভিড় জমান। এটাই আমাদের প্রধান উৎসব। এলাকায় আরও অনেক থিম হয়। এই কয়েকটা দিন আমরা খুব আনন্দ এবং ব্যস্ততার সঙ্গে কাটাই।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে ঝুলন উৎসবকে ঘিরে এই দুই গ্রামে ভিড় করছেন হাজার-হাজার মানুষ। সন্ধ্যা নামলেই ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। থিম দেখতে ভিড় করছেন অনেকে। এই উৎসব ঘিরে মেতে উঠেছেন পূর্ব বর্ধমানের এই দুই গ্রামের বাসিন্দারা। কলকাতা, ব্যান্ডেল, নবদ্বীপ থেকেও অনেকে ছুটে আসেন এখানে।