ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাব কতটা পড়বে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়েছে জেলার কৃষকদের। তাই তড়িঘড়ি পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকেরা। মন্থার প্রভাব ভালমতো দেখা দিলে ধান চাষে চরম ক্ষতি হবে বলেই আশঙ্কা কৃষকদের। এমনকি পিছিয়ে যাবে জলদি (পোখরাজ জাতীয়) আলুর চাষ। কৃষকদের দাবি, চলতি বছরের শুরু থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষিকাজের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁদের।
advertisement
তার উপরে ধান গাছে পোকার উপদ্রব। খরচ বেড়েছে ওষুধে। পোকা থেকে ধান বাঁচিয়ে সোনার ধান মাঠে পাকলেও, এখনও বেশির ভাগ কৃষকদের মাঠে ধান এখনও কাঁচা। আর পাক ধরার মুখে ধান যদি এই সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ অর্থাৎ জল-ঝড় পায় চরম ক্ষতি হবে ফসলে। ধানের গুণগতমান কমবে। এমনিতেই চলতি বছরে ধানের দামও কম। তার উপরে যে সমস্ত কৃষকেরা এই সময় পোখরাজ জাতীয় আলু চাষ করবে ভেবেছিল বৃষ্টি হলে আবার মাটি ভিজবে ফলে পিছিয়ে যাবে পোখরাজ চাষ। সবে মিলি দুর্যোগে চরম দুশ্চিন্তায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল চন্দ্রকোনা এলাকার কৃষকেরা।
এদিকে আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মন্থা ল্যান্ডফল করবে অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়াতে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার ভোরের মধ্যে স্থলভাগে প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। যার প্রভাব পড়তে বাংলায়। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলীয় এলাকায়। দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
