গতবছর রানাঘাট কামালপুর অভিযান সংঘ সারা ফেলে দিয়েছিল গোটা বাংলায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ বড় দুর্গা বানানোর। প্রায় ৭০ ভাগেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরে বেশ কিছু কারণবশত প্রশাসনিক ছাড়পত্র পাওয়া যায় না এই পুজোর। সেই কারণে পুজোর একেবারে অন্তিম লগ্নে এসে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বন্ধ করে দিতে হয় তাদের এই পুজো। এই নিয়ে তখন উঠেছিল একাধিক রাজনৈতিক তর্কবিতর্কও। পুজো কমিটি ও গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ জানাতে দুর্গা মূর্তির চোখে বেঁধে দিয়েছিলেন কালো কাপড়ও। তবে দমে যাননি তারা। এবছর আবারও নতুন এক উদ্দীপনা নিয়ে তারা তৈরি করতে চলেছেন বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুর্গা প্রতিমা।
advertisement
এদিন খুঁটি পূজার মাধ্যমে শুরু হয়ে গিয়েছে তাদের মন্ডপ তৈরির কাজ এবং দু’দিনের মধ্যেই তারা শুরু করে দেবেন প্রতিমার গড়ার কাজও। তবে এবছর যাতে গত বছরের মত কোনওরকম ঝামেলা কিংবা বাধা বিপত্তিতে না পড়তে হয় সেই কারণে আগেভাগেই প্রশাসনিক সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনেই প্রশাসনকে পাশে রেখেই তারা তৈরি করছেন এই দুর্গা বলে জানালেন কমিটির সদস্যরা।
পুজোর এক কর্মকর্তা সুজয় বিশ্বাস জানান, গত বছর যেটুকু ভুল ত্রুটি তাদের ছিল হয়তো বা সম্ভাবনা ছিল ভুল ত্রুটি হওয়ার সেগুলো তারা শুধরে নিয়েছেন। অন্যদিকে সরকারও চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছেন সাধারণ মানুষের আবেগের কথা। এবং অবশ্যই জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম সকলেই এবং সর্বোপরি নদিয়াবাসী যে বিমর্ষ হয়ে পড়েছিল সেই সময় সে খবরও গেছে প্রশাসন ও সরকারের কাছে। এবং তার ফলেই হয়তো এই ছাড়পত্র মিলেছে এই পুজোর।
স্বাভাবিকভাবেই এক বছর প্রতীক্ষার পরে এই পুজো অবশেষে হওয়াতে খুশিতে ভাসছে কামালপুর। তারা আশাবাদী এবার তাদের শিল্পের নিদর্শন দেখাতে পারবে সারা বাংলার মানুষের কাছে। তবে অতীতের কালো স্মৃতি তারা ভুলতে চান আগামীর খুশির উৎসবের কথা মাথায় রেখে সেই কারণে প্রশাসন থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি সর্বোপরি সংবাদমাধ্যম এবং সমাজ মাধ্যমের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন তারা।
Mainak Debnath