গতবার মেলায় এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন চন্দ্রাবতী বর্মা। ৩৭ বছর বয়সী চন্দ্রাবতীর বুকে ও পেটে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করে৷ সাগর মেডিক্যাল ক্যাম্পের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু যন্ত্রণা না কমায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হবে। সেই মোতাবেক ডুমুরজলা থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স যায় সাগর হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে। সেখান থেকে মৃত্যুঞ্জয়কে নিয়ে আসা হয় ডুমুরজলা। এসএসকেএম হাসপাতালে তাকে পাঠানো হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা শুরু হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: শান্ত নদীর, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, একদিনের ছুটিতে ঘোরার আদর্শ ঠিকানা জঙ্গলের মাঝের এই মন্দির
উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বাসিন্দা চন্দ্রাবতী বর্মা। তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে। তড়িঘড়ি অসুস্থতা দেখা দেওয়ায় সাগরেই চিকিৎসা শুরু হয়ে যায়। কোভিড পরীক্ষা করানো হয় ৷ সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে ৷ তার পরেই তড়িঘড়ি তাকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। আর এবারও সাগর মেলায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এসেছেন চন্দ্রাবতী। যেহেতু গতবার তার পুণ্যস্নান হয়নি। তাই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিগত তিন বছর ধরে গঙ্গাসাগর মেলায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাখছে রাজ্য সরকার। বিনা পয়সায় মিলছে সাহায্য। এর পাশাপাশি চালু আছে হেলিকপ্টার পরিষেবা। অনেক সাবধানী ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে প্রশাসনকে। সাগরে যাতায়াত অনেকটাই নির্ভর করে জোয়ার ভাটার ওপরে। ফলে গুরুতর কেউ অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াটা একটা চ্যালেঞ্জ।
এই অবস্থায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স থাকায় সুবিধা হচ্ছে সকলের। আগামী কয়েকদিনে মেলায় গুরুতর কেউ অসুস্থ হলে তাকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্যে নিয়ে আসার একমাত্র উপায় এই লাল-হলুদ রঙের এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়ায় প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স থাকার জন্যে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা গিয়েছে গত কয়েক বছরে একাধিক পুণ্যার্থীকে ৷