জনশ্রুতি, এই মন্দিরে সাধারণ মানুষ রাত্রিযাপন করতে পারেন না। বিশেষ তিথিতে কৌল-তান্ত্রিকরা এসে এখানে নিশিপুজো করেন। আর এই রামপুরহাটে বুংকেশ্বরী তলায় তৈরি হচ্ছে বুংকেশ্বরী মায়ের বিশাল মন্দির। আনুমানিক প্রায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কেরলের একটি মন্দিরে আদলে তৈরি হচ্ছে এই মন্দির। তথ্য খুঁজে জানা গিয়েছে, এতবড় মন্দির রামপুরহাট শহরে আর কোথাও নেই বললেই চলে।
advertisement
আসল যে মন্দির তার পাশে নির্মাণ হচ্ছে নতুন একটি মন্দির। আনুমানিক প্রায় ১০ বছর ধরে চলছে মন্দির নির্মাণ, রংয়ের কাজ এবং কারুকার্য। এমনিতেই প্রত্যেক বছর পৌষ মাসে পৌষ সংক্রান্তির সময় হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করেন বুংকেশ্বরী মন্দিরে, বসে দু’দিনের মেলা। কথিত, পাঁচটি যে তত্ত্ব রয়েছে, তার শেষ তত্ত্ব হচ্ছে বুং আর এই বুং থেকে মা বুংকেশ্বরী।
বহু প্রাচীন এই মন্দির। সাধক বামাক্ষ্যাপা এখানে সাধনা করেছেন বলে বিশ্বাস ভক্তদের। এখানে বহু মহাপুরুষের সাধনা করেছেন, তাদের সমাধি রয়েছে। আর এই মন্দিরের পাশেই রয়েছে মহাশ্মশান। বীরভূমের রামপুরহাট শহরের নিশ্চিন্তপুরে মা বুংকেশ্বরী মন্দির অবস্থিত। এখানকার মা খুবই জাগ্রত বলে বিশ্বাস করেন ভক্তরা। সকল ভক্তের মনস্কামনা পূর্ণ করেন মা। সপ্তাহের প্রত্যেক শনিবার ও মঙ্গলবার মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। দুপুরে মায়ের ভোগ নিবেদন করা হয়। বহু পুরনো মন্দির হওয়ায় মন্দির কমিটির ইচ্ছে নতুন মন্দির তৈরি করে বুংকেশ্বরী মা-কে প্রতিষ্ঠা করবেন। তাই পাশে ফাঁকা মাঠের মধ্যে তৈরি হচ্ছে মায়ের মন্দির। প্রায় কয়েক কোটি টাকা খরচও হয়ে গিয়েছে। আর্থিক সমস্যার কারণে মন্দিরের কাজ কিছুটা ধীর গতিতে চলছে। তাই এবার বীরভূম ভ্রমণের জন্য এলে অবশ্যই তারাপীঠ থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে এই মন্দির ঘুরে আসুন।





