টিফিন আইটেমের মাধ্যমে প্রধান খাবার মুড়ি। একদিকে যেমন পেট ভর্তি খাবার, অন্যদিকে প্রত্যন্ত গ্রামের এক প্রধান খাবারের মধ্যে অন্যতম। তবে গ্রামের দিকে এই মুড়ি বাড়িতেই ভাজা হত। চাল ভিজিয়ে তাকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে মুড়ি তৈরি করতেন গ্রামের গৃহবধূরা। তবে দিন যত বদলাচ্ছে ততই বদলে যাচ্ছে গ্রামের এই বিভিন্ন রীতি। বর্তমান দিনে অনেকেই জানে না, কেমন হয় মুড়ি ভাজা? বর্তমানে মেশিনে ভাজা হচ্ছে মুড়ি।
advertisement
কথায় যেমন আছে, মাছে ভাতে বাঙালি, তেমনি গ্রামের দিকে সকালের টিফিনে সকলে মুড়ি খেতে পছন্দ করে। মুড়ির সঙ্গে চপ, ঘুগনি কিংবা অন্যান্য কিছু খান সকলে। শুধু তাই নয়, মুড়ির সঙ্গে জুড়ে রয়েছে গ্রামের ইতিহাস। তবে কীভাবে মুড়ি ভাজা হয় জানেন? ধান তোলার পর, বিশেষভাবে প্রস্তুত করতে হয় মুড়ির জন্য চাল। এরপর সেই চালকে ভালোভাবে ধুয়ে, নুন মাখিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রাখতে হয়। জল শুকনো হয়ে গেলে বড় কড়াইতে তাকে ভালোভাবে নাড়াতে হয়, যাতে বেশ গরম হয়ে যায়। এরপর একটি খোলা মুখ হাঁড়িতে বা কড়াইতে সামান্য বালি দিয়ে গরম করে তারপর চাল দিয়ে নাড়াচাড়া করলে তৈরি হয়ে যায় গরম গরম মুড়ি। এই সম্পূর্ণ পদ্ধতি করেন গ্রামের গৃহবধূরা। তবে বর্তমান দিনে অনেকেই জানে না মুড়ি ভাজতে। স্বাভাবিকভাবে কদর বেড়েছে মেশিনের।
তবে গ্রামের মানুষের কাছে এখনও নস্টালজিয়া মুড়ি ভাজা। বেশ কয়েক ঘণ্টার প্রস্তুতি, তার সঙ্গে গরম গরম মুড়ি ভাজার গন্ধ বেশ মোহিত করে সকলকে। তবে যন্ত্রের যুগে এবং সভ্যতার উন্নতিতে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীন এই প্রাচীন সংস্কৃতি। মুড়ি খেতে পছন্দ করলেও গ্রামের বাড়িতেও এখন আর ব্যস্ততা থাকে না। স্বাভাবিকভাবে শহরকেন্দ্রিক ছেলেমেয়েদের কাছে এখন বেশ আশ্চর্যের মুড়ি ভাজা।
রঞ্জন চন্দ