অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি—মাত্র ১১০ টাকায় কেজি দই! যেখানে অন্যত্র দাম গড়ে ১৫০ টাকার উপরে, সেখানে এত কম দামে খাঁটি দই বিক্রি করা যেন এক বিস্ময়। শান্তিপুরের এই জনপ্রিয় মিষ্টির দোকানটির নাম আজ প্রায় সকলের মুখে মুখে।
advertisement
দোকান মালিক জানালেন, প্রায় তিন বছর ধরে তিনি দইয়ের দাম ১১০ টাকাই রেখেছেন। তিন বছর আগে দাম ছিল ১০০ টাকা প্রতি কেজি। মাত্র ১০ টাকা বাড়িয়ে এতদিনেও তিনি দামের লাগাম টেনে রেখেছেন। বললেন, ‘আমি লাভের পরিমাণ কম রাখি। আমার উদ্দেশ্য মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। ভাল মানের জিনিস কম দামে দেওয়াটাই আমার ব্যবসার মূলনীতি।’ ৫ টাকায় ৮ থেকে ১০ ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায় দোকানে—এ যেন আজকের বাজারে রূপকথার মতোই কথা। দাম কম বলেই দোকানে ক্রেতাদের ভিড় প্রতিদিনই লেগে থাকে।
আরও পড়ুন- ‘দেহব্যবসা করেই কামিয়েছি…!’ টয়লেটে থরে থরে সাজানো লাখ লাখ টাকা, আয়কর হানায় কেলেঙ্কারি ফাঁস হিট নায়িকার, চিনতে পারলেন?
মালিকের কথায়, ‘কম দামে মান বজায় রাখা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। আমি যেভাবে কাজ করি, সেখানে ভেজালের কোনও প্রশ্নই ওঠে না’ তবে অনেকেই অভিযোগ তোলেন, এত কম দামে বিক্রি মানেই নিশ্চয়ই ভেজাল উপকরণের ব্যবহার। এই অভিযোগের জবাবে দোকানদার স্পষ্ট জানান, ‘পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সাংবাদিক, ফুড ইন্সপেক্টর—সবাই আমার কারখানায় এসেছেন, পরীক্ষা করেছেন। তারা নিজের চোখে দেখেছেন আমি কিভাবে দই পাতি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য তারা প্রশংসাও করেছেন।’
প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দুই কুইন্টাল দই বিক্রি হয় দোকানে, কিন্তু ভাইফোঁটার আগের দিন সেই পরিমাণ প্রায় সাত কুইন্টাল ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে যায়। এই দৃশ্য দেখে এলাকার অন্য মিষ্টির দোকানদাররাও অবাক। ভাইফোঁটার উষ্ণতায় যখন বোনেরা ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিচ্ছে, তখন শান্তিপুরের এই মিষ্টির দোকানে চলছে অন্যরকম এক আনন্দ। সেখানে মিষ্টির স্বাদে, দইয়ের টানে, আর দোকানদারের আন্তরিকতায় মিশে রয়েছে এক অনন্য মিষ্টি গল্প—যার স্বাদ আজ সারা জেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ধীরে ধীরে।