প্রফেসর পদ্মশ্রী আনন্দমোহন চক্রবর্তী। সাঁইথিয়াতে বড় হওয়া সেই বৈজ্ঞানিককে এক নামে চেনে গোটা বিশ্ব। সাঁইথিয়ার মানুষের কাছে তিনি একজন সাধারণ ডাক্তার হিসেবে পরিচিত কিন্তু গোটা বিশ্বের কাছে তিনি প্রফেসর সিউডোমোনাস। কত জনই বা জানেন তাঁর গবেষণা। তিনি বীরভূমের সাঁইথিয়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। এখানেই জন্মানোর পর তিনি এখান থেকে বড় হয়েছেন এবং এখানে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং সেখান থেকে বিদেশে গেছেন। যাঁকে গোটা বিশ্ব ডঃ চক্রবর্তী হিসেবে চেনে।
advertisement
এমনিতেই অনেকেই আমরা আমাদের চারপাশের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে উদাসীন। গোটা বিশ্বের কাছে সমাদৃত সাঁইথিয়ায় বেড়ে ওঠা বৈজ্ঞানিক আনন্দমোহন চক্রবর্তীর নাম অনেকের কাছে আজও অজানা। অথচ সারা দুনিয়ার কাছে তিনি প্রফেসর সিউডোমোনাস নামে পরিচিত। সমুদ্র জলে ভাসমান তেলকে নষ্ট করতে তখন বৈজ্ঞানিকদের হাতে শুধুমাত্র ডিটারজেন্টের ব্যবহার জানা ছিল। পরে ১৯৭১ সালে আনন্দমোহন চক্রবর্তী সেই প্রথম ল্যাবরেটরিতে জিনের সাহায্যে আবিষ্কার করলেন সেই প্রথম ব্যাকটেরিয়া।
যাদের তেল ভক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। প্রফেসর চক্রবর্তী পরে সেই ব্যাকটেরিয়ার পেটেন্ট পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। কারণ তখন সেই সময় পর্যন্ত কোনও জীবিত বস্তুর পেটেন্ট দেওয়ার আইন ছিল না। পরে সেই আবেদন আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ১৯৮০ সালে আদালত এর ওপর পেটেন্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তাই মানা হয় তিনিই বিশ্বের প্রথম কোনও জিন পরিবর্তনের পেটেন্ট এর জন্য আবেদনকারী।
সৌভিক রায়