ওই গ্রামে ৮টি গ্রামে প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসবাস। বর্ষাকালে নদীতে জল বাড়লেই ওই চরের গ্রামগুলির সঙ্গে চরের একদিকে থাকা সিউড়ি ও চরের অপর প্রান্তে থাকা মহম্মদবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো অবস্থা দাঁড়ায়। নদীতে জল না থাকলে নদীর ওপর অস্থায়ী রাস্তার উপর দিয়ে চলে গ্রামবাসিদের যাতায়াত। কিন্তু এখন ময়ূরাক্ষী নদীতে জল বেড়েছে। গ্রামবাসীদের এখন শহরাঞ্চলের সঙ্গে যাতায়াতের ভরসা বলতে বীরভূম জেলা প্রশাসনের দেওয়া নৌকা।
advertisement
ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত নৌকা চলাচল থাকলেও বিকেলের পর থেকে গ্রামবাসীদের হয়ে থাকতে হয় একপ্রকার বন্দি অবস্থায়। রাত বিরেতে হাসপাতাল বা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে থমকে যেতে হয় গ্রামবাসীদের। এই সময়টাতে গ্রামে কোনও সমস্যা হলে পুলিশ প্রশাসনকে ভরসা করতে হয় সেই নৌকার উপরেই।
সিপিআইএম সরকার হোক বা তৃণমূল-- বহু সরকার দেখে এসেছেন এই গ্রামের মানুষরা। আশ্বাস পেয়েছেন অনেক, কিন্তু কাজ হয়নি। গ্রামের মানুষদের দাবি, চরের যে কোনও এক প্রান্তের সঙ্গে সিউড়ির সঙ্গে যোগাযোগের একটা ব্রিজ বা ভাসা ব্রিজ। বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেও গ্রামের মানুষদের দাবি পূর্ণ হয়নি অথচ এই জায়গা থেকেই ভোট পেয়েছেন সাংসদ শতাব্দী রায় ও সাঁইথিয়ার বিধানসভার তৃণমূলের বিধায়ক নিলাবতী সাহা।
তবে বীরভূম জেলা পরিষদের মেন্টর জানিয়েছেন, ওই গ্রামে ইঞ্জিনিয়ারদের দল পাঠানো হবে, যদি তারা মনে করে ভাসা ব্রিজ নির্মাণ করা যায় তো সেখানে অবশ্যই নির্মাণ করা হবে গ্রামবাসীদের সুবিধার্থে।
SUPRATIM DAS