করোনার থাবায় এবারে সেই অনুষ্ঠান নেই। মন খারাপ মংপুর। বহুবার এখানে এসেছিলেন বিশ্বকবি। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই মংপুতে। বহু কবিতা লিখেছেন পাহাড়ের কোলে। আজ সবই স্মৃতি। রয়েছে রবীন্দ্র সংগ্রহশালাও। কবিগুরুর হাতে লেখা কবিতা, তাঁর বিছানা, আসবাবপত্র, চেয়ার সবই ঠাঁই পেয়েছে সংগ্রহশালায়। সারা বছরই দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা ছুটে আসেন রবীন্দ্র স্মৃতি বিজরিত মংপুতে। লকডাউনের জেরে পর্যটকদের জন্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে মংপুর দরজা। একাই রয়েছেন ভবনের কেয়ারটেকার শিশির রাউথ।
advertisement
মংপুতে ১২টি কবিতা কবি লিখেছিলেন বলে জানা যায়। এদিন এখানে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হল। তবে অনাড়ম্বরে। কবিগুরুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান হল। পড়ানো হল খাদাও। বিশ্বকবির লেখা গানও হল। এর মধ্য দিয়ে কবিগুরুকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানানো হল। সামাজিক দূরত্ব মেনেই হল অনুষ্ঠান। উপস্থিত সকলেই ব্যবহার করেন মাস্কও। আজ বড্ড একাকী মংপু। সমতল থেকে যাননি কোনো শিল্পী। এর আগে এমন রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী মংপুতে হয়েছে কিনা উত্তর নেই। এই মংপুতেই বিশ্বকবি নিজের জন্মদিন পালিত করেছিলেন। বহু স্মৃতি আখড়ে ধরে আছে মংপু। আজও সাজিয়ে তোলা হয় মংপুর রবীন্দ্র ভবন। কেয়ারটেকার শিশির রাউথ জানান, মন খারাপ লাগছে ঠিকই। কিন্তু কোভিড ১৯-এর সতর্কতা মেনে চলতে হবে। আর তাই মন খারাপ হলেও তা মানিয়ে চলতে হবে। এসছিলেন রবীন্দ্র মেমোরিয়াল ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সদস্যরা। যোগ দিয়েছিলেন এন এইচ পি সি'র আধিকারীকেরাও। তবে একেবারেই হাতে গোনা কয়েকজন।
Partha Sarkar