বছর দুয়েক আগে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণে সামনে এসেছিল এরাজ্যে জামাত জঙ্গিদের নাশকতার পরিকল্পনা। কাটোয়ার শ্রীবাটিগ্রামের ক্লাব ঘরে বিস্ফোরণও সেই সন্দেহ উসকে দিল।
বিস্ফোরণে কিছুদিন আগে তৈরি হওয়া পাকা ক্লাব ঘর মাটিতে মিশে যায়। তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধছে। বিস্ফোরকের ধরণ নিয়ে তৈরি হয়েছে সন্দেহ। ফলে, ক্রমশ তীব্র হচ্ছে নাশকতার সন্দেহ।
কেন নাশকতার সন্দেহ?
advertisement
বিস্ফোরণের তীব্রতায় ক্লাবের ৪টি থাম উড়ে গিয়েছে। লিন্টন ঢালাই উড়ে গিয়ে পাকা ছাদ মাটিতে মিশে গিয়েছে। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে ক্লাবের লোহার দরজা। দুটি জানালার গ্রিল অন্তত ১০ ফুট দূরে ছিটকে গিয়েছে। সাধারণত হাত বোমার বিস্ফোরণ এতটা তীব্র হয় না।
পুলিশের দাবি, ক্লাবে ১৫০ থেকে ২০০ বোমা মজুত ছিল। বন্ধ থাকায় ক্লাবের ভিতরে বায়ুনিরোধক পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু, এমন পরিস্থিতি হলেও এতগুলি হাতবোমা একসঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনাও কম।
কাটোয়া বিস্ফোরণ নিয়েও বর্ধমান পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে এনআইএ। ঘটনার তদন্তভার নিতে পারে সিআইডিও। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াডের দল। কী ধরনের বিস্ফোরক ক্লাবে মজুত ছিল তার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়।
নিহত বৃদ্ধের পরিবারের তরফে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, বাইরে কোথাও বোমা বেঁধে ক্লাবে মজুত করা হত। সেখান থেকে অন্য কোথাও সরবরাহ করা হত। তবে, বিস্ফোরকের ধরন জানা গেলেই সব দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হবে।