স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অমূল্য রাউতের স্ত্রী সুভাষিনী দেবী গত তিন মাস ধরে ছিলেন নিঃসঙ্গ। স্বামী অমূল্যবাবু ছিলেন পেশায় একজন রিকশাচালক। তিন মাস আগে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন সুভাষিনী। প্রতিবেশীরা জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি প্রায়ই অসংলগ্নভাবে কথা বলতেন, চোখে থাকত অশ্রু আর কণ্ঠে দীর্ঘশ্বাস।
advertisement
মঙ্গলবার সকালে পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে দেখেন, নিজের শোবার ঘরে কড়িকাঠে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন সুভাষিনী। মুহূর্তে এলাকা শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পটাশপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
বৃদ্ধা সুভাষিনী রাউতের এই করুণ পরিণতি আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, বার্ধক্যে একাকিত্ব কতটা মর্মান্তিক হতে পারে।
আরও পড়ুন- এসি চলবে, কিন্তু বিল আসবে ফ্যান চলার মতো! এসির ঘরে করতে হবে ‘ছোট্ট’ এই কাজ
স্বামীর মৃত্যুর শোকেই কি শেষ পর্যন্ত জীবনের প্রতি সমস্ত টান ছেড়ে দিলেন তিনি? উত্তর হয়তো মিলবে না ময়নাতদন্তেও। কিন্তু এই ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রতিবেশীদের চোখে জল, আর মনে একটাই প্রশ্ন—অসহায় বৃদ্ধাকে যদি একটু মানসিক সাহচর্য, একটু সান্ত্বনা দেওয়া যেত, তাহলে হয়তো এমন পরিণতি দেখতে হত না।
মদন মাইতি