TRENDING:

বাড়ির দেওয়াল যেন জীবন্ত ক্যানভাস! আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য উঠেছে ফুটে

Last Updated:

Pandua- তাঁর হাতের আঁকা ছবিতে নিচে কোন মনীষীরী নাম লেখা নেই কারণ তারা মনে করেন কারোর কোন বিষয় জানতে চাইলে তারা এসে তাদের কাছে সহজেই জানতে পারবে এবং তাদের সঙ্গে পরিচিতি বাড়বে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
হুগলি: বাড়ির দেওয়ালে তুলি দিয়ে আঁকা রয়েছে মণীষীদের ছবি। কোথাও অক্ষর, আবার কোথাও কার্টুনের চরিত্র। গ্রামের বাড়ির দেওয়ালে ফুটে উঠছে সেই সব চিত্র।
advertisement

সেখানে অল চিকি ও আড়াং চিকি ভাষায় লেখা রয়েছে বাংলা ও সাঁওতালি ভাষার বিভিন্ন অক্ষর। তার সঙ্গে রয়েছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের শহীদ বীর ও বিভিন্ন সাহিত্যের থেকে উচ্চপদস্থ মানুষদের ছবি। যেখানে একদিকে স্থান পেয়েছে, শুধু কানুর মতন বিপ্লবীরা অন্যদিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী শিবু সরেন ও হেমন্ত সরেন রাও।

advertisement

আরও পড়ুন- ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা বাজতেই দিঘার হোটেলে ঘটল ভয়ঙ্কর ঘটনা! আওয়াজ আসছিল ঘর থেকে

হুগলির পান্ডুয়ার সরাই দিঘীরপাড় এলাকায় প্রায় ৫০ টি আদিবাসী পরিবার রয়েছে। । এদিক-ওদিক থেকে উঁকি দিচ্ছে কংক্রিটের একতলা দোতলা বাড়ি। রয়েছে বেশ কয়েকটি টালির চালের বাড়ি ।তারই মধ্যে মাটির দেওয়ালে টালির ছালের ছাউনি একটি বাড়ির দেওয়াল জুড়েই আঁকা রয়েছে মনীষীদের ছবি।

advertisement

দেওয়াল জুড়ে শিল্পকলার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে ওই বাড়ির ছোট ছেলে সুজয় মূর্মু। তার বাবা ও দাদা দুজনেই সরকারি চাকরি করে। সুজয় ছোট থেকেই আ়ঁকার প্রতি তার ভালোবাসা। এই সমস্তই গোটা দেওয়াল জুড়ে বিভিন্ন মনীষীদের ছবি সে নিজের হাতেই এঁকেছে। তার কারণ আদিবাসী সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষদের কাছে তাদের সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের পরিচিতি ঘটানোর জন্য এই প্রয়াস।

advertisement

হাওড়াতে বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদ থেকে অঙ্কনরত্ন পাস করেছে সুজয়। বর্তমানে বিষ্ণুপুর মল্লভূমি বিএড কলেজ থেকে সাঁওতালি ভাষাতে পড়াশোনা করছে। সাঁওতালিতে ২০২২ সালে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছ থেকে এমএ তে গোল্ড মেডেলিস্টের পুরস্কার পেয়েছে। ছবি শেখানোর পাশাপাশি চাকরিরও প্রস্তুতি নিচ্ছে সুজয়।

আরও পড়ুন- গুমা বাজারে খাঁচায় বন্দি টিয়াপাখিগুলি কারা কিনছিল? কী করতে? হাতেনাতে ধরল অফিসার

advertisement

তাঁর হাতের আঁকা ছবিতে নিচে কোন মনীষীরী নাম লেখা নেই কারণ তারা মনে করেন কারোর কোন বিষয় জানতে চাইলে তারা এসে তাদের কাছে সহজেই জানতে পারবে এবং তাদের সঙ্গে পরিচিতি বাড়বে। সেই কারণেই ছবিটির নিচে তারা নাম লেখেননি।

সুজয় জানায়, আদিবাসীদের যারা বিদ্রোহী নেতার রয়েছেন বা যে সমস্ত সাঁওতালি ভাষায় অক্ষর রয়েছে সেগুলি অনেক মানুষই জানে না, তাই তাদেরকে পরিচিতি করানো এবং মনীষীদের যাতে আমরা ভুলে না যাই তাদের স্মরণ করানোর জন্যই দেয়াল জুড়ে আঁকা রয়েছে ছবি। সাহিত্যিক, ধর্ম গুরু থেকে বিদ্রোহী নেতাদের ছবি আঁকা রয়েছে। এবং আমাদের যাত্রীতে যারা উচ্চ পদে রয়েছেন যেমন রাষ্ট্রপতি ও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তাদেরও ছবি আঁকা রয়েছে। যাতে মানুষ সহজে শিক্ষা এবং সচেতন হতে পারে।

সুজয়ের দাদা মৃত্যুঞ্জয় মূর্মু বলেন, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক তেমনই আদিবাসী সমাজের মনীষী এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে রয়েছেন তাদের সহজেই মানুষ চিনতে পারবে। ভাই নিজে ছবি আঁকে তাই তার মধ্যেও সৃজনশীলতা রয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই এগুলো সে এঁকেছে । গ্রামের অনেক মানুষই আছেন যারা মনীষীদের পরিচয় জানতে আসেন, তাদের আমরা সহজেই চিনিয়ে দিই‌।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

রাহী হালদার

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বাড়ির দেওয়াল যেন জীবন্ত ক্যানভাস! আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য উঠেছে ফুটে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল