মুহূর্তের মধ্যেই গ্রামে বাঘ চলে আসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে নৌকায় করে জাল এবং লোহার খাঁচা দিয়ে পৌঁছে যায় বনদতরের কুলতলি বিট ও নলগড়া বিটের বনকর্মীরা। আসে কুলতলি থানার পুলিশ।সারারাত ধরেই রাত প্রহরা দেয় বনকর্মীরা ও গ্রামবাসীরা।রবিবার সকাল হতেই বাঘের পায়ের ছাপ অনুসরণ করে ধানক্ষেতের কিছুটা এলাকা নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। আনা হয় বনদফতরের ঘুম পাড়ানি বন্দুক চালানোর দক্ষ বনকর্মীকে।
advertisement
রবিবার সেখানে পৌঁছান বনদফতরের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারীক নিশা গোস্বামী।দফায় দফায় বাঘের পায়ের ছাপ খতিয়ে দেখে অবস্থান জানার চেষ্টা করা হয়।কিন্তু সকাল থেকে সেই বাঘের কোনও হদিশই পাওয়া যায়নি।শেষমেষ বিকালের দিকে নদীতে ভাটার সময় জলস্তর নামলে শুরু হয় মাতলা নদীর চর বরাবর বাঘের পায়ের ছাপ খোঁজার কাজ। ঠিক তখনই বনকর্মীদের নজরে আসে যেটি আবার লোকালয় ছেড়ে নেমে গিয়েছে নদীতে এবং দীর্ঘ ওই নদী সাঁতরে ফেরত গিয়েছে নিজের পুরনো ডেরা অর্থাৎ হেড়োভাঙ্গা জঙ্গলে।
স্বাভাবিকভাবেই জঙ্গলের বাঘ আবার পুনরায় জঙ্গলে ফেরত যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।একই অবস্থা বন দফতরেরও। এ বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনদফতরের বিভাগীয় বনাধিকারীক নিশা গোস্বামী বলেন, ‘হেড়োভাঙ্গা জঙ্গল থেকে একটি বাঘ চলে এসেছিল দেউলবাড়ি গ্রামে।এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করার পর বাঘটি আবার নদী সাঁতরে হেড়োভাঙ্গা জঙ্গলেই ফেরত দিয়েছে। বাঘ এলাকায় ঢুকে পড়ায় বনদফতরের পক্ষ থেকে বনকর্মীরা সেখানে রাত প্রহরার ব্যবস্থা করেছিল। নাইলনের জাল দিয়ে ধান ক্ষেত ঘিরে ফেলা হয়। এমনকি চাও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।কিন্তু পরে অনুসন্ধান করে দেখা গিয়েছে বাঘটি আবার লোকালয় ছেড়ে জঙ্গলেই ফেরত চলে গিয়েছে।’
সুমন সাহা