জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের দ্বিতীয় তলার বিল্ডিংয়ে চারটি করে মোট আটটি ক্লাসরুম রয়েছে। প্রতিটি ক্লাসরুম ভগ্নপ্রায় ও বিপজ্জনক হওয়ায় পঠন পাঠন বন্ধ করে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনকি ওই বিল্ডিং দিয়ে বর্তমানে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। বিল্ডিং ভেঙে দেওয়ার জন্য এবং নতুন বিল্ডিং তৈরির জন্য পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতর, খানাকুল এক নম্বর ব্লকের বিডিও-সহ বিভিন্ন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ না হওয়ায় হতাশ প্রধান শিক্ষক থেকে পরিচালন কমিটির সদস্যরা। স্কুলের ভেতরে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তার দায় কে নেবে, সেই আতঙ্কে ভুগছে সকলেই।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়! কাল থেকেই বাংলার আবহাওয়ায় ভোলবদল, কোন কোন জেলা ভাসবে
স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণ কুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রশাসনের সব স্তরে আমরা জানিয়েছি বিল্ডিংটি বিপজ্জনক বলে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়েছে। যে কোনও সময় ছাদ থেকে বড় বড় কংক্রিটের টুকরো খসে পড়ছে। ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথায় ভেবে বারান্দায় ক্লাস করতে হচ্ছে। আমরা চাই নতুন বিল্ডিং নির্মাণ হোক।’’
পরিচালন কমিটির সদস্য লিয়াকত হোসেন জানিয়েছেন, যেখানে যেখানে জানানো দরকার সব জায়গাতেই অভিযোগ জানানো হয়েছে। স্কুল এতটাই বেহাল অবস্থায় রয়েছে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অন্যদিকে ওই অঞ্চলের উপপ্রধানের বক্তব্য বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করা হবে। কোনও ভাবেই ছাত্রছাত্রীদের বিপজ্জনক অবস্থায় ক্লাসরুমে ক্লাস করানো যাবে না। তুই তো বিল্ডিং সংস্কারের জন্য উচ্চ-প্রশানকে জানানো হবে। সব মিলিয়ে এখন দেখার ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
Suvojit Ghosh