পুজো কমিটির সদস্য রাজু সূত্রধর জানান, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় সাধারণ মানুষ বিশেষ করে কৃষকদের জীবন যন্ত্রনার বাস্তব চিত্রটাই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে তাদের পুজো মণ্ডপের মাধ্যমে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে নিজেদের জন্মভিটে ছেড়ে দেশান্তর হতে হয়েছিল অসংখ্য সাধারণ মানুষের। বর্তমানে সীমান্তবর্তী এলাকার বহু মানুষের বসবাস ভারতে হলেও, চাষাবাদ করতে তাঁদের কাঁটাতার পেরিয়েই যেতে হয়। পূর্ব পুরুষের জন্মভিটের কথা শুনে বেড়ে ওঠা বর্তমান প্রজন্মের কাছে এসব যেন এক কাল্পনিক কাহিনি।তার কিছু চিত্রই এবারে থিম ভাবনায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে এবারের পুজো মণ্ডপে।
advertisement
পাশাপাশি পুজো কমিটির সেক্রেটারি সুবোধ সাহা জানান, তাদের প্রতিমাতেও থাকছে ভিন্ন ভাবনা। মোটের উপর গোটা মণ্ডপটাকেই সীমান্তবর্তী একটা গ্রামের রূপে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এবারের ৪৯তম বর্ষের পুজোয়। শুধু পুজো নয়, পুজোকে ঘিরে থাকছে সাত দিনের আনন্দ মেলারও আয়োজন। নবদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবে প্রাচীন মায়াপুর ভারত মাতা ক্লাবের এই পুজো মণ্ডপ ইতিমধ্যেই মানুষের মনে জায়গা করে নিতে যে পেরেছে।