ছুটির সকালে সবাই যখন ব্যস্ত আনন্দ উৎসবে ঠিক তখনই নিজের কর্তব্য শেষ করে, নিজের দায়িত্ব সম্পূর্ণ করে থানার বড়বাবু বসেছিলেন বিশাল কড়াইয়ে রান্না করতে | অবশ্য উপলক্ষটা কিছুটা আমাদের সকলেরই মতো। যিশুদিবসের পিকনিক। তাই খাওয়া, হইহুল্লোড়, নাচগান সবই চলল। থানার প্রাঙ্গণে বসে হল ভাত-মাংস রান্না। আর রাঁধুনি হলেন থানার বড়বাবু। এমন দৃশ্যের সাক্ষী থাকল হাওড়া সিটি পুলিশের সাঁতরাগাছি থানা।
advertisement
আরও পড়ুন, বড়দিনের আনন্দে বড় কোপ! সঙ্গী খারাপ আবহাওয়া? জানুন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস
এই থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মৃণাল সিনহা জানান, কাজের জন্য তিনি তাঁর পরিবারের থেকে দূরেই থাকেন। তাঁর আশপাশে থাকে গোটা ৫০ জন সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুর দল। এই শিশুর দলই এখন তাঁর পরিবার। সেই বাচ্চাগুলোকে বড়দিনে একটু আনন্দ দিতেই থানা চত্বরে এই ভাত-মাংস রান্নার উদ্যোগ।
আর সমাজের যিশুরাও নাছোড়বান্দা, তাদের আদরের "সান্তা" মানে থানার বড়বাবুর হাতের রান্না খাবে বলে। সান্তা বলে কথা সমাজের যিশুদের কথা ফেলেন কী করে, তাই পুলিশের উর্দি ছেড়ে হাতা-খুন্তি নিয়ে বসে পড়া।
আরও পড়ুন,দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্য়াস ট্য়াঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, হতাহত বহু! দগ্ধ হয়ে রাস্তায় ছুটছেন মানুষ
একইসঙ্গে চলল কচিকাঁচাদের নাচগান হইহুল্লোড়। রান্না শেষে মাঠেই চাদর বিছিয়ে চলল পঙক্তিভোজ। সেখানেও মধ্যমণি সেই পূজা- পাপড়িদের আদরের বড়বাবু । চোর, ডাকাত ধরার মধ্যে এই একটা দিন একটু অন্যভাবে কাটালেন হাওড়া সিটি থানার পুলিশকর্মীরাও।