শীতকাল মানেই গ্রাম বাংলা জুড়ে উৎসব আর মেলার মরশুম। আর বাঙালির সেই উৎসবের তালিকার অন্যতম উৎসব নবান্ন। প্রতিবছরের মত এবারেও নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে মেতে উঠেছেন বীজনগর গ্রামের বাসিন্দারা। নিজেদের গ্রামের নবান্ন উৎসব প্রসঙ্গে প্রদীপ কুমার বক্সী বলেন, “প্রায় দেড়শো বছর ধরে আমাদের এই অনুষ্ঠান চলছে। সকলেই আনন্দের সঙ্গে কয়েকটা দিন কাটান।” কাটোয়ার বিজনগর গ্রামেই নবান্ন উপলক্ষে বিগত কয়েক দশক ধরে অন্যান্য দেবতার সঙ্গে মহাদেবের পুজো হয়ে আসছে। এই মহাদেবের বিশেষত্ব হল এর আকার। এবং সেই সঙ্গে পুজোয় ব্যবহৃত উপাচার। বিশালাকার এই মহাদেব মূর্তির পুজো উপলক্ষে ডাবের পরিবর্তে আস্ত ডাবের কাঁদি এবং আম পাতার পরিবর্তে আমের ডাল নিবেদন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন-দ্বিতীয়বার মা হলেন কোয়েল, কোলে এল ফুটফুটে সন্তান, ছেলে হল না মেয়ে! ছবি ভাইরাল
তবে কেবল মহাদেব নয়, এই গ্রামের আরেক আরাধ্য দেবতা গণেশের পুজোর বিসর্জন যাত্রা উপলক্ষে রয়েছে বাতাসা এবং চকলেট ছেটানোর রেওয়াজও। চারদিন ব্যাপী চলা এই নবান্ন উৎসব উপলক্ষে আনন্দে মেতে ওঠে গোটা গ্রামবাসী। গ্রামের গ্রামবাসীরা ছাড়াও নবান্ন উৎসবের শামিল হয় আত্মীয়-স্বজনেরাও। এই প্রসঙ্গে প্রদীপ কুমার বক্সী আরও জানিয়েছেন, “বীজনগরবাসি অপেক্ষায় থাকে কবে নবানের দিন ঠিক হবে। আমাদের গ্রামে খুবই ধুমধাম সহকারে এই অনুষ্ঠান হয়। বিভিন্ন এলাকার মানুষজন দূর-দূরান্ত থেকে এখানে আসেন।”
এই এলাকায় সবার শেষে নবান্ন উৎসব উদযাপন হয় এই গ্রামে। নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে মেলা বসে। দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারাও। বিভিন্ন পাড়ায় ক্লাবের তরফ থেকে থাকে আলোর দারুণ চমক। দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকেই আসেন এই উৎসবে। গ্রামের যারা বাইরে ভিন রাজ্যে কাজ করেন, তারাও এই উৎসবের জন্য গ্রামে ফিরে আসেন। সব মিলিয়ে বর্তমানে নবান্ন উৎসবের আমেজ গোটা বীজনগর গ্রাম জুড়ে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী