হোমের বিছানায় শুয়ে ফুটফুটে ছেলেটা। শরীরে প্রাণ নেই। অনেক ডাকাডাকির পরও বিছানা ছেড়ে উঠছেনা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন নাবালক। হাওড়া পাঁচলা থানায় খবর দেয়া হয়। পুলিশ আসতে স্পষ্ট হয় নাবালক মৃত। ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ হাওড়ার পাঁচলার সজল হোমে ১৩ বছরের এক নাবালকের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যু ধরে অনুসন্ধান শুরু করে। নাবালকের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন নজরে আসে। নাবালকের মৃত্যু নিয়ে একাধিক অসঙ্গতি সামনে আসে। সংবাদমাধ্যমে এই খবর জেনে তৎপর হয় স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি। হাওড়া জেলা শাসক এবং হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়। রিপোর্ট তলব করে এসএলএসএ।
advertisement
জেলাশাসক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানায় হোম কর্তৃপক্ষের তরফে গাফিলতি'র কথা। দ্বিতীয়বারের জন্য জেলাশাসকের রিপোর্ট তলব করা হলে মঙ্গলবার তা জমা পড়ে এসএলএসএ বা সালসা-তে। নাবালকের মৃত্যুর তদন্তের জন্য আরো কিছুটা সময় চেয়ে নেয় জেলাশাসক। বুধবার হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপারের রিপোর্ট পেশ হয় সালসা-তে। জমা পড়ে নবলোকের ময়নাতদন্ত রিপোর্টও। ১৮ পাতার ময়নাতদন্ত রিপোর্টে চিকিৎসকরা জানান ধারালো কিছু দিয়ে নাবালকের শরীরে একাধিক আঘাত করা হয়েছে। মাথায় এবং শরীরে একাধিক এমন আঘাতের চিহ্ন মৃত্যুর আগে হয়েছে বলেও রিপোর্টে জানানো হয়। ময়নাতদন্তের এমন রিপোর্ট আসার পরও পুলিশ কেন সরাসরি খুনের অভিযোগ দায়ের করল না? পুলিশ তদন্তে এত ঢিলেঢালা মনোভাব দেখাচ্ছে কেন? পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন সালসা'র এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান তথা বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি'র সদস্য সচিব দুর্গা খৈতান জানান, "বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত নূন্যতম ডেপুটি পুলিশসুপার পদমর্যাদার অফিসারকে দিয়ে নাবালকের রহস্যমৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ৬০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাওড়া গ্রামীনের পুলিশ সুপারকে।"
ARNAB HAZRA