শিকার উৎসব পালনের নামে দামোদর ডিভিসি ক্যানাল পাড়ের জোড়াবাঁধ এলাকায় বন্যপ্রাণী হত্যা করা হচ্ছিল। স্থানীয়দের থেকে সে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বেশ কয়েকটি আহত বন্যপ্রাণকে উদ্ধার করে গাড়িতে তোলেন বন দফতরের কর্মীরা। পরে আচমকাই জনা পঞ্চাশ আদিবাসি তীরধনুক নিয়ে গাড়ি ঘেরাও করে। নবাবহাট এলাকার তালপুকুর গ্রাম থেকে আরও কয়েকশো আদিবাসি মহিলা ও পুরুষরা এসেও ঘেরাও করে রাখে বন দফতরের গাড়ি। ১৬ জানুয়ারির সেই ঘটনায় কয়েকশো আদিবাসির হুমকির মুখে পড়েও মাথা নত করেননি বন দফতরের কর্মীরা। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে রেঞ্জ অফিসার পুলিশে খবর দেন। সেই সময়েই আদিবাসিরা গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বন্যপ্রাণ গুলিকে ছিনিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছিল। সব বাধা সরাতে সেদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন অরণ্যসাথী হারাধন বৈরাগী, ফরেস্ট গার্ড দীপক মণ্ডল, বৈজ্যু শর্মা থেকে বন সহায়ক প্রতাপগোপাল সিং, বন শ্রমিক শেখ বোধন-রা।
advertisement
তাঁদের জেদের কাছে সেদিন হার মানতে বাধ্য হয়েছিল আদিবাসিরা। সেদিন উদ্ধার করে আনা প্রাণীগুলির মধ্যে একটি গোসাপ ছাড়া সব ক'টিই মারা গিয়েছিল। গোসাপটিকে চিকিৎসা করে সুস্থ করার পরে প্রকৃতির মাঝে ছেড়ে দেওয়া হল। কার্যত যুদ্ধ জয় করে উদ্ধার করে আনা গোসাপটিকে বনে ফেরাতে পেরে বনকর্মীদের মুখে-চোখে ছিল এক তৃপ্তির হাসি। জেলা বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী বলেন, '' আমাদের টিম নিয়ে আমরা গর্বিত। একটা বন্যপ্রাণকে বাঁচাতে পারলেও যে আমাদের মধ্যে কতটা তৃপ্তি হয়, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।''
