যদিও ফ্রেম কাঠের হলেও স্কুটির ভিতরের ইঞ্জিন থেকে শুরু করে চাকা, সমস্ত কিছুই আর পাঁচটি স্কুটির মতোই। জানা গিয়েছে, ওই স্কুটি যিনি গড়েছেন, তিনি পেশায় কাঠমিস্ত্রি। তিনি তাঁর বাবাকে এই স্কুটি কিনে দেন অনেক বছর আগে।
বাবার মৃত্যুর পর স্কুটির ইঞ্জিন ভাল থাকলেও কালের নিয়মে ক্ষয়ে যাচ্ছিল স্কুটির উপরের ফ্রেম। আর সেই কারণেই স্কুটির ফ্রেম চেঞ্জ করে মেহগনি গাছের কাঠ দিয়ে তিনি নিজেই তৈরি করে নিয়েছেন কাঠের এই স্কুটি।
advertisement
আরও পড়ুন- কোন ছকে ভারতকে হারাবেন? ম্যাচের আগেই হুঙ্কার দিয়ে পরিকল্পনা জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক
নদিয়ার চাকদহের বালিয়া ভাজা বাড়ি এলাকার স্বপন সূত্রধর একটি বিশেষ ধরনের স্কুটি তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এই স্কুটি তৈরি হয়েছে বাড়ির মেহগনি গাছের কাঠ দিয়ে, যা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ষণীয়।
এটি তৈরি করতে স্বপন বাবু মাত্র সাত থেকে আট দিন সময় নিয়েছেন। স্বপনবাবু পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। দু’দশক আগে বাবাকে তা উপহার দিয়েছিলেন স্বপন বাবু। বাবার মৃত্যুর পর সেই স্কুটি নষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু স্বপন বাবু তাঁর বাবার স্মৃতি চিরকাল অক্ষুণ্ণ রাখতে এই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন- প্রথম একাদশে বড় চমক ভারতের! বাংলাদেশ নামাচ্ছে কোন ১১ জনকে? রইল মেগা আপডেট
এই স্কুটি এখন রাস্তায় চলাচল করছে, লোকজন তাকিয়ে দেখছে। কিন্তু স্বপনবাবু জানান, এখনও আরও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এই স্কুটি সহজে খুলে ফেলা যায়। স্বপনবাবুর এই সৃজনশীল উদ্যোগ দেখে অনেকেই তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
Mainak Debnath