শুধু দুই বর্ধমানই নয়, পাশের বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলির একটা বড় অংশ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। অথচ পরিকাঠামোর অভাবে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতদের এতদিন বর্ধমান মেডিকেল থেকে কলকাতা রেফার করতে হত। এখন সেই সমস্যা মিটেছে। চালু হয়েছে অত্যাধুনিক ট্রমা কেয়ার সেন্টার। উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য চব্বিশ ঘণ্টাই চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে। নয় হাজার বর্গফুট জমির উপর তৈরি হওয়া এই ট্রমা কেয়ার লেভেল টু পর্যায়ের। এখন পর্যন্ত এই ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরিতে ছয় কোটি টাকার উপর খরচ হয়েছে।
advertisement
অ্যানাসথেসিয়া, অরথোপেডিক ও সার্জারি বিভাগ সর্বক্ষণ চালু
অন কলে থাকছেন নিউরো সার্জেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে আনার ব্যবস্থা, থাকছে অত্যাধুনিক লেভেল ফাইভ ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুলান্স, অত্যাধুনিক দু’টি অপারেশন থিয়েটার, সি আর্ম, এন্ডোস্কোপি, ব্রঙ্কোস্কপি, ল্যাপ্রোস্কপি মেশিন, বেড সাইড মনিটর, প্রতি বেডে ভেন্টিলেটর, ৮ বেডের বিশেষ সিসিইউ, ৪ বেডের ডিপেনডেন্সি ইউনিট এছাড়াও ৮ জেনারেল বেড ৷
বর্ধমান মেডিক্যালের চিকিত্সকদের একটি দল কলকাতায় এসএসকেএমে নিউরো সার্জারি নিয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণও নিয়ে এসেছেন। কার্যকারিতা বিচার করে পরবর্তী সময়ে এই সেন্টারটিকে লেভেল ওয়ান পর্যায়ে উন্নীত করা হতে পারে। শুধু দু নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া বর্ধমানেই নয়, সিঙ্গুর ও আসানসোলে আরও দুটি ট্রমা কেয়ার সেন্টার খুব তাড়াতাড়ি চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।