সে প্রায় ৭০০ বছর আগের ঘটনা। গ্ৰামের নির্জন শ্মশানে নিজের হাতেই দেবী মূর্তি তৈরি করে পুজো করতেন ভৃগুরাম নামে এক সাধক। সকাল থেকে উপবাসে থেকে মূর্তি তৈরি করতেন তিনি। দিনভর পুজো করে দিনের শেষে প্রতিমা বিসর্জনের পর তিনি উপবাস ভঙ্গ করতেন। দিনের পর দিন সেই শ্মশানই ছিল তাঁর সাধন ক্ষেত্র।
advertisement
আরও পড়ুন: পা দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত, হাসপাতালে সাহায্য চাইলেন কিশোরী! ফের নির্যাতনের অভিযোগ
লোককথা, একবার নিজের হাতে প্রতিমা তৈরি করে তিনি স্নান করতে যান পুকুরে। ফিরে এসে দেখেন তাঁর তৈরি স্বল্প দৈর্ঘ্যের দেবী প্রতিমা বিশালাকার ধারণ করেছে। ছোট্ট প্রতিমা হয়ে উঠেছে প্রায় ১৪ হাতের সমান। যা দেখে ভৃগুরাম জ্ঞান হারিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে দেবীর স্বপ্নাদেশ পান ভৃগুরাম। দেবী জানান, এইভাবেই পূজিতা হবেন তিনি। সেই প্রথা মেনে আজও পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের বড়বেলুন গ্ৰামে পূজিত হন সকলের আরাধ্যা বড়মা।
২৮ ফুট উচ্চতার সুবিশাল কালী মূর্তির পুজোকে ঘিরে লক্ষ লক্ষ পুরুষ মহিলা জমায়েত হন। শুধু এই জেলাই নয় পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা এমনকী ভিন রাজ্য থেকেও আসেন হাজার হাজার ভক্ত। বাড়ি বাড়ি আত্মীয় স্বজনের আগমন ঘটে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে সোজা পুকুরে, প্রাণ গেল বউয়ের! কারণ শুনলে শিউরে উঠবেন
পুজোর উদ্যোক্তারা বলছেন, সময় যত গড়িয়েছে ততই বড়মার খ্যাতি ছড়িয়েছে নানা প্রান্তে। বর্তমানে সাধক ভৃগুরামের বংশধররাই পুজো করেন বড়বেলুন গ্ৰামে। প্রতিমা তৈরি হতে সন্ধে গড়িয়ে যায়। সব শেষে হয় মায়ের অঙ্গরাগ। তারপর পুজো। এই সুবিশাল প্রতিমার বিসর্জন দেখতে উৎসাহীদের ভিড় উপচে পড়ে। প্রতিমার কাঠামোয় লাগানো থাকে লোহার চাকা। একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিমা। কয়েক ঘন্টার শোভাযাত্রার পর মায়ের প্রতিমার বিসর্জন হয় গ্রামেরই জলাশয়ে। এই পুজো উপলক্ষে আজও মেলা বসে গ্রামে।