সকাল থেকে এক পূর্ণবয়স্ক হাতিকে কাদায় পড়ে থাকতে দেখে সাধারণ মানুষ। স্থানীয় সূত্রে খবর, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় কাদা থেকে কোনও ভাবে উঠতে পারছিল না হাতিটি। জানা গিয়েছে, জংলি দু’টি হাতির মারামারির ঘটনায় জখম হয়ে কাদায় পড়েছিল হাতিটি। বিভিন্নভাবে তাকে কাদা থেকে তোলার চেষ্টা চালায় সাধারণ মানুষ। কখনও গাছের লতাকে চেন বানিয়ে তোলার চেষ্টা করে তারা। যদিও বেশ কয়েক ঘণ্টা পর আসে বনদফতরের আধিকারিকরা।তবে শেষ রক্ষা হল না, মৃত্যু হল হাতিটির।
advertisement
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসবে কালবৈশাখী! ভারী বৃষ্টি হবে বঙ্গজুড়ে, কোন জেলা ভিজবে কোন দিন, জরুরি ওয়েদার রিপোর্ট
ঝাড়গ্রাম জেলার কেশররেখা রেঞ্জের কুইলিসুতা এলাকায় এক হাতি কর্দমাক্ত একটি জলা জায়গায় পড়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, অসুস্থ ছিল হাতিটি। তবে কোনওভাবেই জলা জায়গা থেকে উঠতে পারছিল না সে। স্বাভাবিকভাবে বেশ অসুবিধার মধ্যেই ছিল জংলি এই দাঁতালটি। পরে বনদফতরের আধিকারিকরা এসে তাকে তুলতে গিয়েও ব্যর্থ হয়।
বনদফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের। হাতি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং হাতিটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ হাতিটিকে তুলতে না পারা, বিনা চিকিৎসা এবং অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় তার। তবে এ দায় কার তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রঞ্জন চন্দ