কয়েক বছরে ভারাত্তোলনে দেশকে বেশি আশার আলো দেখিয়েছে পাঁচলা ব্লকের অন্তর্গত দেউলপুর গ্রাম। এই গ্রাম থেকেই উঠে এসেছে ভারাত্তোনের একের পর এক নক্ষত্র। দেউলপুর নানা দিক থেকে সমৃদ্ধ। তবে যেন ভারাত্তোলনে আশীর্বাদ এই গ্রামে সর্বাধিক। গ্রামের অধিকাংশ পরিবার দিন এনে দিন খাওয়া, সেই সব পরিবারে থেকেই উঠে আসে বেশি সাফল্য।
advertisement
এখানে এমন পরিবার রয়েছে যাদের ছেলেমেয়েদের দুবেলা খাবার মুখে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। বর্তমানে সময়ে গ্রামে বহু ছেলে-মেয়ের মধ্যে খেলাধুলায় দারুন প্রতিভা। তাদের মধ্যেই অন্যতম তিতলি ও তিশা। তিতলি তিশার শৈশব থেকে অভাব অনটনের সঙ্গী। দিনরাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে দুবেলা খাবার জোগার করেন মা। তাই চাকচিক্যময় বাইরের জগত থেকে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে দু’বোন তিতলি ও তিশা।
আরও পড়ুন- পহেলগাঁওয়ে হানিমুন,রোম্যান্টিক ছবি তোলেন কিছুক্ষণ আগেই, কীভাবে বাঁচলেন সুদীপ্ত-দেবশ্রুতি?
বড় হয়ে মানুষ হতে হবে, মায়ের মুখে হাসি ফোটবে। শৈশব থেকে সেই মন্ত্রেই দীক্ষিত দুই বোন। সারাদিনে পেট ভরে একটু খাবার খাওয়া আর লেখাপড়া। তখন প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রী তিতলি। বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে স্কুলে চলছে অনুশীলন। শিক্ষক ইন্দ্রনীল দাসের নজরে আসে তিতলি। শিক্ষক ইন্দ্রনীল বাবু, একসময়ের বডি বিল্ডার হিসাবে বেশ দক্ষ ছিলেন। তাই খুব সহজেই তিতলি’র প্রতিভা ধরা পড়েছিল তাঁর চোখে।
ভোর ৪ থেকে উঠে জরির কাজ, তারপর সকালে সংসারের কাজ সামলে বেলায় স্কুলে যাওয়া। সারা মাসে যা আয় হয়, ডাল ভাত জোগাড় করতেই শেষ। একজন ভারাত্তোলকের যে পরিমাণ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন তার সিকি ভাগ জোটেনি তিতলি ও তিশার শরীরে। এই প্রসঙ্গে প্রশিক্ষক প্রলয় বাগ জানান, গ্রামে এমন ছেলে মেয়ে অসংখ্য। যাদের রয়েছে খেলার প্রতিভা রয়েছে। কিন্তু পরিবারের অর্থনৈতিক সমস্যা দারুন। সেইসব পরিবার থেকে ছেলে-মেয়েদের তুলে আমরা প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করি।
রাকেশ মাইতি