কমলা লেবুর স্বাদে সুতলি বোমার আকারের বিশাল রসগোল্লার নামই বোম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় বিস্ফোরক বোমের রমরমা ছিল বহু যুগ আগে। কথায় কথায় বোমাবাজি হত এলাকায়। এলাকাটি কয়লা খনি অঞ্চল হওয়ায় কয়লা মাফিয়াদের দাপাদাপিও ছিল ওই এলাকায়। মাফিয়াদের মধ্যে বোমাবাজি-সহ গুলিবর্ষণের শব্দে এলাকা কাঁপত একসময়। সেই সময় থেকে অর্থাৎ প্রায় ৩০ বছর আগে ওই এলাকায় সুতলি বোমার আকারে রসগোল্লা তৈরি করত এলাকার তিনজন প্রসিদ্ধ মিষ্টি ব্যবসায়ী।
advertisement
বোমের নাম শুনেই দূর-দূরান্তের মিষ্টিপ্রেমী মানুষ ওই এলাকার মিষ্টির দোকানে ভিড় জমাতেন সেই সময় থেকে। অতীতের মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বোমাবাজি ও গুলিবর্ষণ শেষ হলেও বর্তমানে বোম মিষ্টি এলাকায় ব্যপক বিখ্যাত। মাফিয়ার রমরমা আজ ইতিহাস হয়ে গেলেও গরম গরম ‘বোম’ মিষ্টির চাহিদা বাজারে ব্যাপক রয়েছে। ওই এলাকায় প্রসিদ্ধ তিনটি মিষ্টি ভাণ্ডারে আজও দেদার বিকোচ্ছে ‘বোম মিষ্টি’।
দুর্গাপুর খনিঞ্চল ও শিল্পাঞ্চল-সহ আশপাশের জেলার মানুষ ‘বোম মিষ্টি’ খেতে আজও ওই এলাকায় আসেন। মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিনটি মিষ্টির দোকান থেকে প্রায় প্রতিদিন দুই থেকে তিন হাজার বোম মিষ্টি বিক্রি হয়।এই মিষ্টির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।একটি বোম রসগোল্লার দাম কুড়ি টাকা।মিষ্টির সাইজ বিশালাকার হওয়ায় এই ‘বোম’ নামকরণটি হয়েছে।
দীপিকা সরকার